ভেড়ামারা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার। মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের চরম ব্যস্ততা। সববয়সী মানুষের মধ্যে এখন ঈদ বাজার নিয়েই যত ভাবনা।ঈদকে সামনে রেখে শহরের মোশারফ গার্মেন্টস, ছালাম বিপণি বিতানসহ মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি-বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্রতোর ভিড়ে জমজমাট। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতা, প্রসাধনী সামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। ভেড়ামারায়া শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। ঈদের জামায় এবার মেয়েদের আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে। ফারাকপুর গ্রাম থেকে আসা ক্রেতা নুরুজ্জামান বলেন, পরিবারের সদস্যের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাপড় কিনলাম। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। যা সামর্থ্যে কুলাচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছি। ছোট্ট মনি জুবায়েরা বলে, মায়ের সঙ্গে মার্কেটে এসেছি। আলিয়া কাট জামাটা দেখছি। এটা আমার খুব পছন্দের। ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও নারীদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের মাসের শুরুতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরো বাড়বে। শহরের মোশারফ গার্মেন্টসের মালিক মোশারফ বলেন, মার্কেটগুলোতে টাঙ্গাইলের সুতি, জামদানি, জর্জেট এবং সিল্ক শাড়ির চাহিদা এবার অনেক বেশি। সাতকাহন গার্মেন্টসের মালিক মিলন বলেন, আলিয়া কাট জামার এবার ব্যাপক চাহিদা। এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার। শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। রেলবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ জানান, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকিকিনি করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আর জিনিসপত্ররে দাম মানুষের হাতের লাগালের মধ্যেই আছে। তাই মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছে।
