বাড়ীর মাঝে কারেন্টের খুটিই কাল হলো মিরপুরের লতিফের

মিরপুর প্রতিনিধি ॥ পেশায় একজন ঘর ঝাড়ু দেওয়া বাড়ুন বিক্রেতা। অনেক কষ্ট করে ইটের দেয়াল ও টিন দিয়ে চারটি ঘর করেছিলেন। কিন্তু বিধিবাম গরীবের আর ঘরে শোয়া হলো না। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। গতকাল বিকেলে এই আব্দুল লতিফ নামের হতদরিদ্র মানুষটির চারটি ঘর বিদ্যুতের পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের চৌদুয়ার গ্রামে। এ গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, চোখের সামনে দাউ দাউ করে চারটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেল। বার বার বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করেও তারা বিদ্যুৎ বন্ধ করেনি। আমার ঘরের নগদ টাকা, সমস্ত আসবাবপত্র  ও কাপড় চোপড় সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।  তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ীর মাঝখানে কারেন্টের একটি খুটি আছে। সেই খুটি সরানোর জন্য আমি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিরপুর জোনাল অফিসে বার বার অভিযোগ করি কিন্ত ডিজিএম আনন্দ কুমার কুন্ডু কোন ভুমিকা নেয়নি। তারা পরপর তিনবার দেখে গেলেও খুটি সরানোর কোন পদক্ষেপ নেননি। তাদের খামখেয়ালি ও উদাসীনতার কারণে  আমার  বাড়ী পুড়ে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাইফুল ইসলাম রামের এক পথচারী বলেন, নিমিষে চারটি ঘর পুড়ে গেল। তবে লতিফের বাড়ীর উপর দিয়ে কারেন্টের ঝুকিপুর্ন তার আছে। সেই তার না থাকলে তার এ ক্ষতি হতো না। তবে মিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বর্তমানে গ্রাহক হয়রানী চরম পর্যায়ে পৌছেছে। এব্যাপারে আমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একলিমুর রেজা সাবান জোয়ার্দ্দার বলেন, আব্দুল লতিফের বাড়ী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিদ্যুতের খুটি সরালে তার এ ক্ষতি হতো না। লতিফ বার বার অভিযোগ করলে তারা খুটি সরানোর ব্যাপারে কোন ভুমিকা নেয়নি। পল্লী বিদ্যুৎ বর্তমানে নীল চাষ শুরু করেছে। তাদেরকে অভিযোগ করে লাভ নেই। তারা কোন কথা কানেই তোলে না। এ ব্যাপারে মিরপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আনন্দ কুমার কুন্ডুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার নম্বর বিজি দেখায়। তাই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Leave a Comment