বিশিষ্ট গবেষক এ্যাডঃ লালিম হক বলেছেন, বাঙ্গালী জাতিস্বত্বা প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাভাষাকে সারা পৃথিবীতে পরিচিতি করার পেছনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের অবদান অতুলনীয়, অনস্বিকার্য। বাংলা সাহিত্যের এই দুই শিরোমনি শুধু সাহিত্য শিল্পকর্মেই নয়। সামাজিক ব্যাবিচার, কুসংস্কার, নারীর ক্ষমতায়ন, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, প্রেম, প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্যে অবলোকনের উপায়সহ নানা দিক নিয়েও কাজ করেছেন।
বাঙ্গালী জাতিস্বত্বা প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্র-নজরুল’র অবদান অনস্বিকার্য: এ্যাড: লালিম হক

রবিবার সন্ধায় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী রোটারী গ্যালারী, ফুড কর্ণারে নবরুপে জাগো সাহিত্য আড্ডার আয়োজনে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নবরুপে জাগো সাহিত্য আড্ডার সভাপতি সৈয়দা হাবিবার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গবেষক এ্যাডঃ লালিম হক বলেন, বাংলা ভাষার রং, রস আস্বাদনে গান, কবিতা, উপন্যাস লিখে কবি গুরু যেমন অসমান্য অবদান রেখেছেন ঠিক তেমনি বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী কবি নজরুলের কবিতা আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাই এই দুই সাহিত্যিককে বাদ দিলে বাংলা সাহিত্যের কিছুই থাকে না। যত কবি, সাহিত্যিক বাংলা ভাষায় লেখালেখি করেছেন তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি লিখেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি নজরুল। তিনি বলেন, আজকে শিলাইদহে কবি গুরুর কুঠিবাড়ী, কাচারী বাড়ী, দাতব্য চিকিৎসালয় এবং ত্রীশালের কবি নজরুলের বাস্তভিটা সংরক্ষণ এবং সংস্কার জরুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিশির কুমার রায়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক গবেষক ড. সরওয়ার মুর্শেদ, বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী ও সংম্বর্ধিত অতিথি এ্যাডঃ সুব্রত চক্রবর্তি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. নবিনুর রহমান খান, কুষ্টিয়া এডিটরস্ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়ার কাগজ’র সম্পাদক নুর আলম দুলাল, রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃতি করেন কনক চৌধুরী, আজিজুল হক স্বপন, শরিফুল আলম কচি, বকুল, সৈয়দ গোলাম কবির। অনুষ্ঠানে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে গান, কবিতা আবৃতি উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
এর আগে কবি নজরুলকে কবিতা, লেখালেখিতে বিশেষ অবদান রাখায় কবি ও শিল্পী এ্যাডঃ সুব্রত চক্রবর্তিকে উত্তোরীয়, ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্র সংগীতের সুরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কবি গুরু ও কবি নজরুলের প্রতিকৃতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সার্বিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক অজয় মৈত্র। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন সাবেক কমিশনার বনানী হাসান ও সাবেক যুবলীগ নেত্রী দিনা লায়লা। এসময় কবি খাইরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ সাইদ, রেজাউল করিম, মোজাম্মল হক, ম মনিরুল ইসলাম, জসীম উল্লাহ আল হামিদ, এস আই সোহেল, হাসিম কবির, আলাউদ্দিন আহমেদ, মিজান আহমেদ, নজরুল ইসলাম, আবিদুর রহমান রাজন, প্রতিময় মজুমদার, ইমন ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।