কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় দুইপক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় সালিশে বৈঠকে মীমাংসা হওয়ার প্রায় চারদিন পরে এক ছাত্রকে হকিষ্টিক, লোহার রড, হাতুড়িসহ নানাবিধ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১ অক্টোরব) বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কুমারখালীতে সালিশে মীমাংসার পরেও স্কুল ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ

আহত ছাত্রের নাম মো. রোমান বিশ্বাস (১৬)। তিনি সাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও ওই ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান বিল্লালের ছেলে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় রাতেই তাঁর মা রুমানা বেগম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

রোববার রাতে সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্কুল ছাত্র রোমান। পাশে বসে আছেন তাঁর মা রুমানা বেগম।
এসময় রুমানা বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার টিফিনের সময় বাড়ি ফেরার পথে আমার ছেলের সাইকেলের সাথে অন্য একটি ছেলের সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এনিয়ে স্থানীয় বখাটে রানা ( ২১), সৈকত (২০), হাসান (২৫), সাকিব (২১), সজিব (২৭)সহ বেশ কয়েকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এনিয়ে ওইদিন বিকেলেই বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, ইউপি মেম্বরসহ স্থানীয়রা বিদ্যালয় সালিশ বসায়। সালিশের মীমাংসার মাধ্যমে ঘটনার নিষ্পত্তি হয়। তবুও রোববার বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার ছেলেকে ওরাই আবার লোহার রড, হাতুরি, হকিষ্টিকসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারপিট দিয়ে আহত করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমি ছেলেকে নিয়ে খুব আতঙ্কিত রয়েছি। সুষ্ঠ বিচারের আশায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। সেজন্য তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সোমবার দুপুরে সত্যতা স্বীকার করে সাওতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. খাইরুল ইসলাম খোকন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় সেদিন পক্ষের হাতাহাতি হয়। তা সেইদিনই দুইপক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে বসাবসি করে মীমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু মীমাংসার পরে আবারো হামলার ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
তাঁর ভাষ্য, এঘটনায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও খুব আতঙ্কে রয়েছে। তিনি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার প্রত্যাশা করছেন।তিনি আরো বলেন, হামলা করেই বখাটেরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ পরিদর্শক ( এসআই) মো. ইমদাদুর রহমান জানান, তিনি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।