কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক কৃষকের বিরুদ্ধে সদ্য প্রসাব করা অসুস্থ গাভী গরুর মাংস বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) সকালে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর ইকোপার্ক এলাকায় এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত কৃষক মো. ইউনুস প্রামাণিক ওই এলাকার মৃত সখা প্রামাণিকের ছেলে।
কুমারখালীতে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ওই কৃষকের গোয়ালঘরে অসুস্থ গাভী গরুটিকে জবাহ করে রাখা হয়েছে। কসাইয়ের কাছে বিক্রি করা হবে।
এসময় কৃষক মো. ইউনুস প্রামাণিক বলেন, প্রায় দুই লাখ টাকার অস্ট্রিয়ান গাভীটি গত রোববার একটি বাছুর গরুর জন্ম দেয়। সেসময় বাছুরের সঙ্গে পেটের নারী – ভূড়ি বের হয়ে আসলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গরুটির চিকিৎসা চলছিল। হঠাৎ গতরাতে ( সোমবার) বেশি অসুস্থ হলে মঙ্গলবার সকালে জবাহ দেওয়া হয়েছে।
তাঁর ভাষ্য, তিনি গরিব মানুষ। গরুটি বিক্রি করতে পারলে কিছু টাকা পাবেন। সেজন্য কুষ্টিয়ার এক কসাইয়ের কাছে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু কসাইয়ের নাম বলেননি তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, জগন্নাথপুর ইউনিয়নে প্রচুর গরু পালন হয়ে থাকে। সেখানে প্রায়ই অসুস্থ গরু জবাহ করে কসাইয়ের কাছে গোপনে বিক্রি করা হয়। এতে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতারিতও হচ্ছেন। অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি বন্ধের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা প্রাণিসস্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, তিনি খবর পেয়ে গরুটিকে প্রায় দুইঘণ্টা চিকিৎসা প্রদান করেছেন। কিন্তু সুস্থ করতে পারেননি। তাঁর ভাষ্য, তিনি কৃষককে জানিয়েছেন গরুটিকে জবাহ করে স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করতে পারেন, কিন্তু কোনভাবেই বিক্রি করতে পারবেন না।
ইউএনও ( ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি। তবে ক্রেতাদের মাংস কেনার ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা জানান।