কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ এর ইতিহাস : মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল অংশগ্রহন এবং স্বাধীনতার লাল-সবুজের পতাকা অর্জনের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে স্¦াধীনতা পদকে ভূষিত করেছে। মহান এই মুক্তিযুদ্ধে বান্দরবান জেলাবাসীর অংশগ্রহন, পুলিশের অংশগ্রহন ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের বিষয়টি অম্লান করে রাখার মানসে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রধান ফটকের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে মহান স্বাধীনতা ভাস্কর্য ‘অর্জন”। চির অম্লান, চির গৌরব, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সম্প্রীতির এ ভাস্কর্য আগামী প্রজন্মের নিকট মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত করে রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস ।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা (Kushtia District) কার্যক্রম এলাকাবাসীর মূল্যায়ন সন্তোষজনক। তারপরও আমরা মনে করি, আমরা কাজ শুরু করেছি মাত্র, এখনও অনেক কাজ করতে হবে। পুলিশ দায়িত্ব পালন করে যাবে। পাশাপাশি জনগণকে ভাবতে হবে। আমাদের সামর্থ্যরে কথা। শুধু পুলিশ নয় নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য, আইনশৃংখলা মেনে চলা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যায় এবং অসুন্দরকে প্রতিহত করা এবং প্রয়োজনে পুলিশকে সহযোগিতা করে সামাজিক শাস্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখা। তাহলেই পুলিশ-জনগণ বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে দুনীতি ও অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সম্ভব হবে।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ এর ইতিহাস
কুষ্টিয়া বহুপূর্ব থেকেই বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে এর অবিসংবাদিত পরিচিতি রয়েছে। তবে ‘কুষ্টিয়া’ নামটি কীভাবে এলো, তা নিয়ে ইতিহাসকারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। সবচেয়ে সমর্থিত মতটি হেমিলটনস-এর গেজেটিয়ার সূত্রে পাওয়া। সেটি হলো, কুষ্টিয়াতে এক সময় প্রচুর পরিমাণে পাট উৎপাদিত হতো। পাটকে স্থানীয় ভাষায় ‘কোষ্টা’ বা ‘কুষ্টি’ বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। কারো মতে ফারসি শব্দ ‘কুশতহ’ থেকে কুষ্টিয়ার নামকরণ হয়েছে যার অর্থ ছাই দ্বীপ। আবার সম্রাট শাহজাহানের সময় কুষ্টি বন্দরকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের উৎপত্তি বলেও একটি মত রয়েছে।
আরও দেখুন: