কুমারখালীতে গরু চুরির সালিসে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গরু চুরির সালিসে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার ( ৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে।

কুমারখালীতে গরু চুরির সালিসে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ
আহত ব্যক্তিরা হলেন – চরসাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মালেক (৩৫), কালু ড্রাইভার (৫০) হেলাল উদ্দিন (৪০), সুফি মন্ডল (৩৭), মাসুম (২৬) , মনসুর (২৯), মিঠন (২৯) সহ অন্তত ১০। তাঁদেরকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে সালিসে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শতশত আমজনতা চরসাদিপুরের চেয়ারম্যানসহ ৮ থেকে ১০ জনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এতে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল হোসেন বলেন, ঈদের আগে পাবনা সদর এলাকার ঘাটপাড়ায় গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে শুক্রবার বিকেলে দুপক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সালিস বসায় চেয়ারম্যান। সালিসে পাবনার লোকজন গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষের ওপর দেশীয় অস্ত্র চাকু ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে গেছে। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে পরিষদে ঘিরে রেখেছে। তিনি ঘটনাস্থলেই আছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মেছের আলী বলেন, গরুর চুরির সালিস চলছিল তাঁর পরিষদে। হঠাৎ মারামারি শুরু হয়। কয়েকজনকে চাকুও মারা হয়েছে। তাকে জনগণ পরিষদে আটকে রেখেছেন। তিনি পুলিশকে ফোন দিয়েছেন।
কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক ( এসআই) দীপংকর দাস বলেন, তিনি খবর পেয়ে চরসাদিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌছানোর পরে তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।
