রবীন্দ্রনাথ তাঁর সৃষ্টিকর্ম দিয়ে মানুষের ভেতরের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলেছেন: মেয়র আনোয়ার আলী
কুষ্টিয়া পৌরসভার জননন্দিত মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। রবীন্দ্রনাথের লেখায় “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে”, “উদয়ের পথে শুনিকার বাণী ভয় নাই ওরে ভয় নাই”, এই কথাগুলো আমাদের ছয় দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর সৃষ্টিকর্ম দিয়ে মানুষের ভেতরের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলেছেন: মেয়র আনোয়ার আলী
তিনি বলেন, আমাদের দেশের জাতীয় সংগীত তাঁরই লেখা। এছাড়া বিশ্বের আরও দুটি দেশের জাতীয় সংগীত তাঁর লেখা। মেয়র বলেন, রবীন্দ্রনাথ এমন প্রতিভার অধিকারী ছিলেন মানব জীবনের সব বিষয়ের কথা বলে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ শুধু কবি, সাহিত্যিক ও দার্শনিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সমাজ কর্মী, সমাজ সংস্কারক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ছবি আঁকতেন, ইন্ডাষ্ট্রিজ ও কৃষকের জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মেয়র আরও বলেন, তিনি নোবেল পুরষ্কারের টাকা দিয়ে কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন। তাই আমাদের জীবনের সাথে তার কথাগুলো যদি এক করতে না পারি, তাহলে আমাদের জীবন বৃথা।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর সৃষ্টিকর্ম দিয়ে মানুষের ভেতরের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তুলেছেন। ২৫ শে বৈশাখ সোমবার সকাল ৬.৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া পৌরসভার আয়োজনে উপলক্ষে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ স্মৃতিবিজড়িত স্থান টেগর লজে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আনোয়ার আলী এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড.সরওয়ার মূর্শেদ রতন, সহ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি অশোক সাহা প্রমুখ।

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শমিষ্ঠা। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার শিল্পীদের পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
