কুমারখালীতে নবী (সা.) কে অবমাননা করাই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
কুষ্টিয়া কুমারখালীতে নবী হযরত মুহাম্মাদ(সাঃ) কে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানার এজাহার থেকে জানা যায়, কয়া চাইন্ড হেভেন গার্লস হাই স্কুল এর প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের সামনে নবী নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন।

কুমারখালীতে নবী (সা.) কে অবমাননা করাই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও বাড়াদি গ্ৰামের মোঃ এনামুল হক (৩৯) থানায় লিখিত এজাহার দায়ের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়।
এই সময় মামলার বাদী বলেন, মোঃ আবু সালেহ (৫০) পিতা- মৃত আব্দুল জব্বার শেখ, সাং- কয়া,। তিনি কয়া চাইল্ড হ্যাভেন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি তাহার স্কুলে প্রতিদিন এ্যাসেমবিলিতে ছাত্রীদের বলে তোমরা বোরকা পড়বে না, চুল ছেড়ে দিয়ে মাথায় ক্যাপ পড়ে পায়ে জুতা পড়ে সাইকেল যোগে স্কুলে আসতে হবে বলিয়া ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করে। এ বিষয়টি নিয়ে উক্ত স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ সায়মা খাতুন এর অভিবাবক মোছাঃ শাহানাজ খাতুন সপ্না, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান ১০ টার সময় কয়া চাইল্ড হ্যাভেন নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে। স্কুলের অফিস কক্ষে প্রবেশ করিয়া তিনি জানাতে চাই, আমাদের মেয়েদের কেন বোরকা পড়া নিষেধ করেছেন । তখন আবু সালেহ বলেন, রাসুলের আদর্শ মানতে হলে ১২/১৪ টা বিবাহ করতে হবে এবং ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষন। করিয়া নির্যাতন করিতে হবে।

এছাড়াও আরও বলেন কোরআনের ৫০০ আয়াত ভুল আছে। এটা সৌদি সরকার বিবৃতি প্রদান করেছে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ রাসুল বলিতে কেহ নাই, যে আল্লাহ সেই রাসুল। অতএব এ বিষয় নিয়ে আমাকে বোঝাতে আসবেন না। এমন কথায় আমাদের মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত আপত্তিকর এবং হযরত মহম্মদ (সাঃ) ও কোরআন সম্পর্কে তার এই জঘন্য বক্তব্যে আমাদের সমস্ত মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরন ঘটিয়েছে। যার কারণে আমি বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছি। এই বক্তব্যের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি সেই সঙ্গে তাকে গ্ৰেফতারের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দেখছে।
অভিযুক্ত আবু সালেহ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোহসীন হোসাইন বলেন, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আমি নিজে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে ধরতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
