কারাবন্দীদের শাড়ী, লুঙ্গি ও কসমেটিকস উপহার দিলেন নারী বাতায়ন - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কারাবন্দীদের শাড়ী, লুঙ্গি ও কসমেটিকস উপহার দিলেন নারী বাতায়ন

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ১৫, ২০২৩
কারাবন্দীদের শাড়ী, লুঙ্গি ও কসমেটিকস উপহার দিলেন নারী বাতায়ন

কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি ও হাজতি কারাবন্দীদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে লুঙ্গি এবং কারাবন্দী নারীদের মাঝে নতুন শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। একইসাথে তাদের জন্য হাতের মেহেদি, চুড়ি, টিপ, কানের দুল, মালা, খোঁপা, নেলপলিশ, লিপস্টিক ও মাথার ব্যান্ড তুলে দেওয়া হয়। এসব পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন কারাবন্দীরা।

কারাবন্দীদের শাড়ী, লুঙ্গি ও কসমেটিকস উপহার দিলেন নারী বাতায়ন

কারাবন্দীদের শাড়ী, লুঙ্গি ও কসমেটিকস উপহার দিলেন নারী বাতায়ন

কারাবন্দীদের শাড়ী, লুঙ্গি ও কসমেটিকস উপহার দিলেন নারী বাতায়ন

শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বন্দীদের মাঝে লুঙ্গি, শাড়ি ও কসমেটিকস সামগ্রী কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আ: বারেক ও জেলার আবু মুসার হাতে এসব হস্তান্তর করা হয়।

এসময় মৌবনের ম্যানেজার আশিকুজ্জামান রনি, এক্সিকিউটিভ অফিসার মীর তনিমা, এসএম জামাল, কনক আহমেদ, বিপ্লব হোসেন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

মৌবন কুষ্টিয়া পরিচালিত “নারী বাতায়ন” এর আয়োজনে এবং খুলনা বিভাগীয় ‘জয়িতা’ মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আনজুম জনির অর্থায়নে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কারাগারে বন্দী পুরুষ এবং কয়েদি ও হাজতি নারীদের মাঝে শাড়ি ও এসব কসমেটিকস সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মায়েদের সঙ্গে থাকা ১জন শিশুর মাঝেও নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়।

মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনির এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জেল সুপার আ: বারেক বলেন, এই উপহারগুলো বন্দীদের অনেক আনন্দ দেবে। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সবাই নতুন পোশাক পরলেও বন্দীরা এ সুযোগ থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হয়ে থাকে। ঈদ মানে আনন্দ, আর ঈদ মানে খুশি। তাই তাদের মাঝে মৌবনের পক্ষ থেকে আজ ওই সব উপহার সামগ্রী তুলে দিতে পেরে আমিও আনন্দিত।’

এক শুভেচ্ছা বার্তায় মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনি বন্দীদের জানান, পরিবার-পরিজন ছাড়া ঈদ উদযাপন করতে হয় বন্দীদের। এতে তাদের মনের মধ্যে যে দুঃখ কাজ করে থাকে তাতে আমরাও দুঃখিত হই। ঈদের বিশেষ একটা দিনে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কিছুটা হলেও আমি তৃপ্তি পাবো।
তারা সংশোধিত হয়ে নতুন ও সুন্দর একটি জীবন গড়ে তুলবেন, এটা আমাদের প্রত্যাশা।’

আরও পড়ুন: