মিরপুরে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতন, থানায় অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

মিরপুরে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতন, থানায় অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

মিরপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।স্বামী কর্তৃক হকষ্টিক দ্বারা বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর আহত ঐ নারী বর্তমানে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। নির্যাতনের শিকার ও আহত গৃহবধুর নাম মিতা আক্তার (২৫)। সে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের গৌরদহ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র রাজিব (৩০) এর স্ত্রী ও মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার চখরীচরণ গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে।

মিতা আক্তারের পিতা আব্দুল আজিজ জানান-বিগত ২০১০ সালের ১ আগষ্ট গৌরদহ গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র রাজিবের সঙ্গে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক আমার মেয়ে মিতার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বর্তমানে উক্ত স্বামীর ঔরসে আমার মেয়ের গর্ভে রাইসা খাতুন (০২) একটি মেয়ে সন্তান জন্মলাভ করে। গত দুই বৎসর আগে আমার মেয়ের সুখের জন্য আমি আমার জামাই রাজিব আলী কে বিদেশ যাওয়ার জন এক লক্ষ টাকা প্রদান করি।

তার কিছুদিন পরে সে আমার মেয়ের নিকট পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে সে ও তার পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসতে থাকে। এমনকি আমার মেয়েকে তার স্বামী গৃহে রেখে আমার মেয়ে ও তার কন্যার ভরণ-পোষণ না দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক বিকাল ৪টার সময় জামাই রাজিব আমার মেয়ের কাছে আবার ও যৌতুকের টাকা দাবি করে। আমার মেয়ে না দিতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে।

আমার মেয়ে গালি-গালাজ করতে নিষেধ করলে আমার মেয়ের শাশুড়ী পারুল খাতুনের হুকুমে জামাই রাজিব আমার মেয়েকে বসতঘরে দরজা বন্ধ করে হকস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। রাজিব ও পারুল খাতুন আমার মেয়েকে ঘরের বাহিরে এনে পারুল খাতুন ধরে রাখে ও  রাজিব মারতে থাকে ও সেসময় হুমকি দেয় যে উক্ত টাকা না দিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে। জামাই রাজিব বলেছে-তোর বাবাকে অতিদ্রুত টাকা নিয়ে আসতে বল।

একপর্যায়ে রাজিব ক্ষ্যান্ত হয়। পরে আমার মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় পাখি ভ্যানযোগে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি হয়। এব্যাপারে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও প্রধানগণ আপোশ-মিমাংসার প্রচেষ্টা করে বিফল হওয়ায় আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান-এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।