রঞ্জুউর রহমান ।। জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে শুদ্ধাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ সভা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ২০২৩-২০২৪ শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল দশটা জেলা প্রশাসনে সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা সভাপতিত্বে জেলাই জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে শুদ্ধাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ সভা এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ২০২৩-২০২৪ শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক)শারমিন আক্তার,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল ওয়াদুদ,সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা) রেকসোনা খাতুন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা, ট্রেজারী ও স্ট্যাম্প শাখা) মোঃ মহসীন উদ্দীন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা) মোঃ রাহাতুল করিম মিজান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মিজানুর রহমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার (অ.দা) মোঃ কাওছার হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রেভিনিউ মুন্সিখানা শাখা, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ও জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা) মোঃ জিল্লুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ব্যবসা, বানিজ্য ও বিনিয়োগ শাখা, রেকর্ডরুম শাখা) আদিত্য পাল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, মুমতাহিনা পৃথুলা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা, প্রবাসী কল্যাণ শাখা) সৈয়দ আফিয়া মাসুমা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আইসিটি শাখা ও ই-সেবা কেন্দ্র) মোঃ তাফসীরুল হক মুন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (আইসিটি শাখা) মোঃ জাহিদ হাসান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ই-সেবা কেন্দ্র ও স্থানীয় সরকার শাখা) আবু সালেহ মোঃ নাসিম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা)মোঃ আব্দুর রকিব, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ফরমস এন্ড স্টেশনারি শাখা ও লাইব্রেরি শাখা) ফারজানা সুলতানা এছাড়াও জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কর্মরত, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান এবং শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন জেলা প্রশাসনের ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।
শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২০২৪-এর জন্য জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত হয়েছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আবদুল ওয়াদুদ। উপজেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২০২৪-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন দৌলতপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ ওবায়দুল্লাহ। এছাড়াও উক্ত সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন জেলা প্রশাসকের বাংলো অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক জনাব মোঃ সামসুর রহমান, দৌলতপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শিশির কুমার চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নেজারত শাখার অফিস সহায়ক জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, একজন মানুষের নৈতিকতা শিক্ষা শুরু হয় তার পরিবারে এবং শুদ্ধাচার অনুসরণের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তার পরের ধাপে আছে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নৈতিক জীবন গড়ার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিসীম। এ প্রেক্ষাপটে শুদ্ধাচারের কৌশলে এগুলির ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। সরকারের রাষ্ট্রীয়ভাবে শুদ্ধাচার প্রণয়ন মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার উপর অর্পিত যে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব শতভাগ স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা মাধ্যমে বাস্তবায়িত করা। শুদ্ধাচারের দুটি সূত্র রয়েছে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা। সমাজ ও রাষ্ট্রে দুর্নীতি নির্মূল ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। রাষ্ট্র আইনকানুন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে তাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, সমাজ তা প্রতিপালন করে সেই সঙ্গে সমাজের নীতিচেতনা ও মূল্যবোধও রাষ্ট্রে প্রতিফলিত হয়। সরকারের নির্বাহী বিভাগের জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকারসমূহ সরকারি কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু এসব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, এবং এগুলিতে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠাই কৌশলটির মূল লক্ষ্য।
