আমিন হাসান ॥ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের পুকুর লিজ দেওয়া নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা। এ যেন পুকুর নিয়ে পুকুর চুরির গল্প। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে পুকুরটি লিজ দেওয়া হয় নাই । অথচ মিথ্যা লিজের অজুহাত দেখিয়ে ভোগ-দখলের অভিযোগ উঠেছে কল্লোল নামের একব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে করে সরকার প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অবিলম্বে এই পুকুরটি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অন্যান্য মৎস্য চাষিরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশায় জেলার বাইরে থেকে রোগী আসে এই হসপিটালে। ধারণ ক্ষমতার চেয়েও প্রায় তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকেন এবং সাথে থাকেন রোগীর আত্মীয়-স্বজন। কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে টিউবয়েলের ব্যবস্থা না থাকায় পানির বিকল্প উৎস হিসাবে অনেকেই বেছে নেন এই পুকুরটি। তবে পুকুরের পানি ব্যবহার করতে দেন না, সেখানকার পুকুর পাহারাদার । পুকুর পাহারাদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে মাছ ছাড়া হয়েছে, পুকুরে নামা নিষেধ। এই পুকুরটি কল্লোল সাহেব লিজ নিয়েছেন। এ বিষয়ে পকুর লিজ দাবিদার কল্লোলকে কাছে জনাতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এই পুকুরটি লিজ নিয়েছি, আপনি আমার অফিসে আসেন বসে কথা বলব। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলামকে মুঠোফোনে মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের এই হাসপাতালের পুকুরটি লিজ দেয়া হয়নি বিষয়টি পুরোই মিথ্যা এ বিষয়ে কোনো রকম আমাদের কাছ থেকে পারমিশন নেইনি তবে আমি বিষয়টি শুনেছি কারা মাছ চাষ করছে এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
