কুষ্টিয়ার দুইটি আসনে একাধিক দলীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহন করার আশংকা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ার দুইটি আসনে একাধিক দলীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহন করার আশংকা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: নভেম্বর ২৭, ২০২৩
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা কুষ্টিয়ার দুইটি আসনে একাধিক দলীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহন করার আশংকা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা
কুষ্টিয়ার দুইটি আসনে একাধিক দলীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহন করার আশংকা

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণাকুষ্টিয়ার দুইটি আসনে একাধিক দলীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহন করার আশংকা

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা
কুষ্টিয়ার দুইটি আসনে একাধিক দলীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহন করার আশংকা

কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন মোট ৪১ জন। এদিকে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়ার সংসদীয় ৪টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে নৌকার প্রার্থী ঘোষনা করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং কোন কারণ উল্লেখ ব্যতিরেকে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা, সংসদীয় আসন-৭৬) আসনে কাউকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি দলটি।

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর, সংসদীয় আসন-৭৫) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন মোট ১৭ জন। যারা হলেন, আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ, আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরী, বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, এজাজ আহমেদ মামুন বিশ্বাস, আরিফ আহমেদ বিশ্বাস, নাজমুল হুদা পটল বিশ্বাস, শরীফ উদ্দিন রিমন, দেওয়ান মাসুদ করিম মিঠু, মোফাজ্জেল হক, মাহমুদুল হাসান রাকিব, ছাদিকুজ্জামান খান সুমন, হাসানুল আসকার হাসু, আনছার আলী খান, তারিক আল মামুন, আবদুল জলিল, আহসান হাবিব এবং রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সিলেকশন কমিটি যাচাই বাচাই শেষে বর্তমান সংসদ সদস্য আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাকেই নৌকা প্রতীক দেন।

আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ বর্তমান সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ১৯৬০ সালের ১৮ মার্চ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার পিতা হাজী মুহাম্মদ শাহজাহান ছিলেন ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং মাতা ফিরোজা বেগম ছিলেন গৃহিনী। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি মনে প্রাণে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৯৮০ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের কলেজ ছাত্র সংসদের ভি۔পি নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়া জেলায় প্রথম গ্রেফতার হন। তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা এবং আওয়ামী যুবলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাবেক আহবায়ক। তিনি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহবায়ক এবং কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পেশা জীবনে তিনি একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। আওয়ামী আইনজীবী কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা, সংসদীয় আসন-৭৬) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন মোট ৬ জন। যারা হলেন, ইফতেখার মাহমুদ, আতাহার আলী, কামারুল আরেফিন, শরিফুজ্জামান নবাব, সৈয়দ কামরুল আরিফিন এবং রশিদুল আলম। এই আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য এখন পর্যন্ত কাউকে নিশ্চিত করেনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। তবে ধারণা করা হচ্ছে জাসদের সাথে জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচন করার জন্য এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন না।

অপরদিকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর, সংসদীয় আসন-৭৭) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন মোট ৬ জন। যারা হলেন, মাহবুবউল আলম হানিফ, ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, ডাঃ এ এফ এম আমিনুল হক রতন, আনজুমান লাইলা বানু এবং খন্দকার মাহাতাবুল হক জয়। এই আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। মাহবুবউল আলম হানিফ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথম বারের মত জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মাহবুবউল আলম হানিফ ১৯৫৯ সালের ২ জানুয়ারি তার পৈতৃক বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রেলওয়ের কর্মকর্তা থাকার সুবাদে তিনি পাকশী রেলওয়ে কলোনীতে বড় হয়েছেন। সেখানে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবনে তিনি সক্রিয়ভাবে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে সম্মানসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে (মিরপুর-ভেড়ামারা) দলীয় সংসদ প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এবং ২০০৭-এর সংসদ নির্বাচনে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া-১ আসনে (দৌলতপুর) দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত হলেও দেশের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উক্ত নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হলেও জোটগত নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৮তম কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রথম বারের মত তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১২, ২০১৬, ২০১৯ ও ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ১৯, ২০, ২১ ও ২২ তম কাউন্সিলেও তাকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃ দায়িত্ব¡ প্রদান করা হয়। বর্তমানে এই দায়িত্ব¡ পালন করছেন। ২০১০ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসাবে দায়িত্ব¡ পালন করেন। এছাড়া তিনি প্রাথমিক জীবনে ভেড়ামারা থানা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসাবে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন, এরপর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা, সংসদীয় আসন-৭৮) আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন মোট ১২ জন। যারা হলেন, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ সদর উদ্দিন খান, জাহিদ হোসেন জাফর, আব্দুর রউফ, আব্দুল মান্নান খান, সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর, সুলতানা তরুণ, তানিয়া আমীর, মিজানুর রহমান, অভি চৌধুরী, সুনীল কুমার চক্রবর্তী এবং শাহিনুর রহমান।

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা, সংসদীয় আসন-৭৮) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ কুষ্টিয়া-৪ আসন থেকে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। পারিবারিকভাবে সেলিম আলতাফ আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক সাংসদ গোলাম কিবরিয়ার দৌহিত্র তিনি। তার চাচা আবুল হোসেন ও চাচি সুলতানা তরুণও সাংসদ ছিলেন। আরেক চাচা সামছুজ্জামান অরুণ কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র। বাবা প্রয়াত আলতাফ হোসেন কিরণ মুক্তিযোদ্ধা ও স্কুলশিক্ষক ছিলেন। মা মমতাজ বেগম অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। বর্তমানে তিনি কুমারখালী মহিলা পরিষদের সভানেত্রী। কুমারখালীতে আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তনকারী পরিবারের মানুষ হিসেবে সেলিম আলতাফ পরিচিত। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলএম। তিনি লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়েন এবং বার ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে নৌকা মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর থেকে কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থকরা মোটর সাইকেল র‌্যালি ও আনন্দ মিছিল করেছেন।

আবার যে সকল প্রার্থী বা নেতা মনোনয়ন প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়েছেন তাদের সমর্থকদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশার ছাপ। যদি দলের সিদ্ধানের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন অধিকাংশ মনোনয়ন বঞ্চিত নেতা এবং তাদের সমর্থকেরা। তারপরও কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর, সংসদীয় আসন-৭৫) আসন, কুষ্টিয়া-৩ (সদর, সংসদীয় আসন-৭৭) আসন এবং কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা, সংসদীয় আসন-৭৮) আসনে একাধিক আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংঠনের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন বলে কানাঘোষা চলছে।

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয় এবং ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রির বিপরীতে দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।