বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার : সাইদুল ইসলাম
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের জন্য দেশের মানুষের মুক্তির জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং এ দেশের স্বাধীনতার জন্য অনন্য অবদান রেখে গেছেন। তার অবদান এ জাতি চিরদিন মনে রাখবে। তার যে ত্যাগ সত্তা ও অবদান তা কখনো ভুলবার নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে আদর্শ সেটা আমাদের সকলের বুকে ধারণ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার : সাইদুল ইসলাম
বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালবাসতেন। তিনি শিশুদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। কারণ তিনি জানতেন শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে নতুন প্রজন্ম যারা আছেন তাদের প্রধান কাজই হবে আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। তাই নতুন প্রজন্মসহ আমরা যারা আছি সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হব, বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ আছে তা মনের ভেতর ধারণ এবং লালন করে নিজেদের মধ্যে তৈরি হবো। সেই সাথে তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ও মিশন ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে এসে এক সাথে কাজ করবো এবং গর্বিত অংশীদার হব।
শুক্রবার কুষ্টিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
“স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন”এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৬মার্চ) সকাল ১০টার সময় কুষ্টিয়া শিশু একাডেমিতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং দেয়ালিকার মাধ্যমে শিশুদের ভাবনা প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়।
অপরদিকে শুক্রবার (১৭মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার সময় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

পরে সকাল সোয়া ৯টার সময় কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক মঞ্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা পরবর্তিতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া জর্জ কোর্টের জিপি এ্যাডঃ আ স ম আক্তারুজ্জামান মাসুম প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মখলেছুর রহমান, জেলা কালচারাল অফিসার মোঃ সুজন রহমান,কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) মোছাঃ শারমিন আক্তার, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাঃ নাসরিন বানু, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ খাদিজা খাতুন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখা) সিফাতুন নাহার, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রেকর্ডরুম শাখা ও রেভিনিউ মুন্সিখানা শাখা) তানভীর হায়দার, সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা) স্বরূপ মহুরি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাসসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়া সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২ টায় কুষ্টিয়া জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অপরদিকে বাদ জুম্মা কুষ্টিয়া কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সকল মসজিদ,মন্দিও, গীর্জা, প্যাগোডায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং প্রার্থনা করা হয়।
