শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে নেই পুরানো জৌলুশ
রবীন্দ্র সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে বুধবার শেষ হচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মোৎসব ২০২৩। সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় কুঠিবাড়ি চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে নেই পুরানো জৌলুশ
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সংগীতানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দ্বিতীয়দিনের অনুষ্ঠানমালা। বিকেলে মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য দেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুষ্টিয়া -০৪ আসনের সংসসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মো. আরিফ উজ জামান, কুমারখালী পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান, কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শিশির কুমার রায়, কবি ও সাহিত্যিক আলম আরা জুঁইসহ প্রমূখ।
এদিকে জন্মোৎসব উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে কুঠিবাড়ি চত্ত্বর। কুঠিবাড়ির বাইরে বসেছে গ্রামীণ মেলা। কিন্তু তীব্র গরম, এসএসসি পরীক্ষা ও ধানকাটার মৌসুম চলমান থাকায় গ্রামীণ মেলা ও কুঠিবাড়িতে দর্শনার্থীদের সেই পুরানো জৌলুশ নেই।
বেলা ৩ টার দিকে গ্রামীণ মেলায় গিয়ে দেখা গেছে, মেলার মাঠ যেন সুনসান! ক্রেতার অপেক্ষায় অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। কুঠিবাড়ি চত্ত্বরটিও অনেকা দর্শনার্থী শূণ্য।

শিলাইদহে রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে নেই পুরানো জৌলুশ
এসময় পাবনার চাটমোহর থেকে মেলায় আসা দোকানী নুরুল সরদার (৫৫) বলেন, মেলায় লোকজন নেই, বেচাকেনাও নেই। সবারই এবছর লোকসান হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দর্শনার্থী বলেন, তীব্র গরম, এসএসসি পরীক্ষা ও ধানকাটার মৌসুম চলমান থাকায় গ্রামীণ মেলা ও কুঠিবাড়িতে দর্শনার্থীদের সেই পুরানো জৌলুশ নেই। আর তরুনরা এখনতো তথ্য – প্রযুক্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকে।
তবে কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান আল আমীন বলেন, দিনে কিছুটা কম রাতের অনুষ্ঠানমালায় ভরপুর দর্শনার্থীদের আনোগোনা থাকছে।

কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহে অবস্থিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক বাসভবনটি দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানীখ্যাত কুষ্টিয়া জেলাকে মহিমান্বিত করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলী নামে যে কাব্যগ্রন্থের জন্য ‘নোবেল’ পুরস্কার পান, তার অনেক কাব্যই তিনি এ-বাড়িতে বসেই লিখেছেন। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত ‘শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য কর্ম’ শীর্ষক পরিচিতিমূলক পুস্তিকা অনুযায়ী এ-বাড়িতে অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ ৩৮টি কবিতা, ১০টি নাটক, ২টি প্রবন্ধ ও গীতাঞ্জলীর ৯টি গান রচনা করেছেন।
