কুমারখালীতে গৃহবধূর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতির অভিযোগ, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক গৃহবধূর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের আমতলা মোড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। বাড়ির মালিক ঢাকায় একটি বে – সরকারি বিদ্যুত কোম্পানিতে (ডিবিডিসি) কর্মরত আছে।

কুমারখালীতে গৃহবধূর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতির অভিযোগ, আতঙ্কিত এলাকাবাসী
বুধবার ( ৩১ মে) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টিনশেডের আধাপাকা বাড়িটি ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। বাড়ির পিছনের প্রবেশপথের দরজা ভাঙা। বাড়ির বারান্দার গ্রিলের তালা ও একটি কক্ষের দরজার ছিটকান ভাঙা। দুইটি কক্ষের মালামাল অগোছালো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ডাকাতির খবর শুনে দূর – দূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।
এসময় বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মোছা. শিউলি খাতুন বলেন, তখন রাত আনুমানিক তিনটা বাজে। তিনি সন্তানদের সাথে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় ডাকাতরা তাঁর গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ধরে টান দিলে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙে তিনি দেখেন তাঁর কক্ষে ৬ জন লোক। তাঁদের মধ্যে চারজনের মুখ বাঁধা, তিনজনের হাতে পিস্তল এবং আর অন্যদের হাতে সাবল ( দেশীয় অস্ত্র) চাকু।
তিনি আরো বলেন, ডাকাতরা তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চুপচাপ থাকতে বলেন। তিনি তাঁদের কথামতে ভয়ে সন্তানদের নিয়ে অস্ত্রের মুখে চুপচাপ ছিলেন। তাঁর ভাষ্য, ডাকাতরা তাঁর বাড়িতে প্রায় আধাঘণ্টা সময় ধরে ডাকাতি করে। তাঁরা তাঁর গলায় থাকা রকেটসহ একটি স্বর্ণের চেন, ঘরে থাকা একটি আংটি, এক জোড়া দুল, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ ৬ – ৭ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন।
চৌরঙ্গী বাজারের ওষুধ বিক্রেতা আব্দুল গণি ও পান্টি বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী পল্লব আহমেদ বলেন, একের পর এক অস্ত্র ধরে ডাকাতি হচ্ছে। এতে মানুষ জান ও মাল নিয়ে খুব আতঙ্কিত রয়েছেন। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান তাঁরা।

যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিন পরে তাঁর ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সবগুলো ডাকাতি একই স্টাইলে হচ্ছে। তাঁর ভাষ্য, কোনো একটি চক্র সংঘবদ্ধ ভাবে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কুমারখালী থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিলকিস খাতুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
