বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস ; কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নিরবইে পালিত হচ্ছে দিনটি - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস ; কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নিরবইে পালিত হচ্ছে দিনটি

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: আগস্ট ৬, ২০২৩
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস ; কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নিরবইে পালিত হচ্ছে দিনটি

২২ শ্রাবণ (৬ আগষ্ট)। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মহাপ্রয়াণ দিবস। তবে কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে থাকছেনা তেমন কোন আয়োজন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস ; কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নিরবইে পালিত হচ্ছে দিনটি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস ; কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নিরবইে পালিত হচ্ছে দিনটি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মহাপ্রয়াণ দিবস ; কবির স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে নিরবইে পালিত হচ্ছে দিনটি

অথচ ২৫শে বৈশাখ কবির জন্ম জয়ন্তীতে এই কুঠিবাড়িতে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। কবিভক্ত, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও দর্শনার্থীদের পদভারে পরিপূর্ণ থাকে কুঠিবাড়ির অঙ্গিনা। নানা অয়োজনে ৩দিন ব্যাপী দিবসটি পালিত হয় জাতীয়ভাবে। অথচ কবির সেই স্মৃতিধন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে অনেকটা শুনসান নিরবতায় পালিত হচ্ছে কবির মহাপ্রয়াণ দিবসটি। কবির মহাপ্রয়াণ দিবসও যেন জাতীয়ভাবে পালন করা হয় এমন আবেগভরা দাবী জানিয়েছেন কুঠিবাড়ি দর্শনে আসা দর্শনার্থী ও কবি ভক্তরা।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

পদ্মাতীরের ছায়াশীতল নিরিবিলি পরিবেশ থাকায় সবসময়ই কবিকে কাছে টানতো। তাইতো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাণের টানে কুঠিবাড়িতে ছুটে এসেছেন বারবার। এখানে বসেই কবি রচনা করেছেন কালজয়ী সব কাব্যগ্রন্থ, ছোট গল্প, নাটক ও উপন্যাস। যে গীতাঞ্জলী কাব্য রচনা করে কবি নোবেল বা বিশ্বজয় করেছিলেন, সে কাব্যের প্রায় পুরোটাই তিনি রচনা করেছিলেন তাঁর স্মৃতিধন্য শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বসে।

এখানে কবির জন্মবার্ষিকী খুব ধুমধাম করে পালন করা হয়। কিন্তু মহাপ্রয়াণ দিবসে এখানে তেমন কোন আয়োজন না থাকায় এ নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন কুঠিবাড়িতে আসা দর্শনার্থী ও কবির ভক্তরা। তাদের দাবী কবিগুরুকে জানতে ও নতুন প্রজন্মকে জানাতে কবির মহাপ্রয়াণ দিবসটিও জাতীয়ভাবে পালন করা হোক। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কবির নিজ হাতে লাগানো বকুলতলায় বসে যারা কবিগুরুকে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত গানে গানে স্মরণ করে আসছেন সেই কবিভক্ত সাংস্কৃতিক কর্মীদেরও দাবী কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের।

শোকের মাস আগষ্টে বাঙ্গালী জাতির দুই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁদের জীবন ও দর্শন নিয়ে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিকেল কুঠিবাড়ির আঙিনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন রয়েছে। একইসাথে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসটি জাতীয়ভাবে পালনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন কুঠিবাড়ির কাষ্টোডিয়ান মো. আল আমিন।

বাঙ্গালীর আত্মপরিচয়ের জায়গা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাইতো আপন স্বত্মায় মিশে থাকা কবিগুরুকে জন্মবার্ষিকীর আদলে প্রয়াণ দিবসেও মর্যাদার সাথে স্মরণ করা হোক জাতীয়ভাবে। এমন দাবী কবিভক্তসহ সকলের।

আরও পড়ুন: