কুমারখালীতে কাঁচা মরিচের বাজারে চলছে নৈরাজ্য
কুষ্টিয়া কুমারখালীতে চলছে কাঁচা মরিচের বাজারে দাম নিয়ে নৈরাজ্য। খুরচা ,পাইকারদের ও মহল্লার দোকানে চলছে এই নৈরাজ্য। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামে আকাশ পাতাল পার্থক্য। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭ শ’ থেকে ৮ শ’ টাকা দরে। ভারত থেকে আমদানির প্রভাব পড়েনি ভোক্তা পর্যায়ে বরং কমেছে যোগানও।

কুমারখালীতে কাঁচা মরিচের বাজারে চলছে নৈরাজ্য
গত এক সপ্তাহ ধরেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। কুমারখালী বাজারে সরবরাহও কমেছে। মানভেদে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৫ শ’ থেকে ৫ শ’ ৫০ টাকায়। খুচরা দোকানে দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ শ’থেকে ৮ টাকা কেজি। আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়ার সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
ঈদে বিভিন্ন ধরনের মসলার চাহিদা বাড়ে। আর এর সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু বিক্রেতারা। বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে জিরা, ধনিয়া, বাদামসহ সব ধরনের মসলার দাম। প্রতি কেজি ভারতীয় জিরার দাম হাঁকা হচ্ছে ১ হাজার টাকা। অথচ মাস খানেক আগেও ছিল ৮০০ টাকা।
পেঁয়াজের বাজারেও অস্থিরতা চলছে। ফরিদপুর অঞ্চলের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজিতে। পাবনার পেঁয়াজের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকা। আর ভারতীয় জাতের কেজি কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আঁধা বিক্রি হচ্ছে ৪ শ’ ৫০ টাকা কেজিতে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের তৎপরতা বাড়লেও, সরকারি সংস্থার কোনো তদারকি নেই।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী পৌর কাঁচাবাজারে, পাইকারি আড়ৎদার শহীদ বিশ্বাস, (১ এপ্রিল) শনিবার সকাল থেকে কাঁচা মরিচ ৫ শ’ থেকে ৫ শ’ ৫০ টাকা দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছে। আমদানি কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেশি জানান তিনি।
পৌর কাঁচা বাজারে কাঁচামাল খুচরা বিক্রেতা মঞ্জু কাছে কাঁচামরিচ বিক্রি করছে ৬ শ’৫০ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন আমি ৫ শ ‘ ৫০ টাকা কেজি দড়ে কাঁচা মরিচ কিনেছে। বিক্রি করছি ৬ শ’ ৫০ টাকা দড়ে। তবে তিনি কোন রশিদ দেখাতে পারেনি।

সাপ্তাহিক হাট কুমারখালী গোঁ হাট বাজারে খুচরা কাঁচামরিচ বিক্রেতা আশরাফ কাছে মরিচের দাম শুনা গেলো ৭ শ’টাকা কেজি। পাশেই আর এক কাঁচামরিচ বিক্রেতা ৮ শ’টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেলো।
কাঁচামরিচ ক্রেতা রাসেল বলেন, সাংবাদিকদের দেখে মরিচের দাম ৬ শ’হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ আগেও ৭ শ’টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। আবার কেউ ৮ শ’টাকা কেজি বিক্রি করছে। বাজার মনিটরিং নেই, সেই কারণে এমন অবস্থা।
কাঁচামরিচ চাষী নজরুল বলেন, ১ বিঘা জমিতে দেড় কেজি কাঁচা মরিচ হয়েছে। সেই কাঁচামরিচ বিক্রি করছি ৫ শ’ টাকা দড়ে। এবার মরিচ গাছে মরিচ নেই। যার কারণে এমন পরিস্থিতি।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, কেউ বেশি দামে কাঁচা মরিচ সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বাজারে অভিযান চালানো হবে।
