কুষ্টিয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির মতবিনিময়
কুষ্টিয়ায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুষ্টিয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির মতবিনিময়
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এসময় তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সমন্বয়। সরবরাহনীতি ও বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে ঘরোয়া মজুদ করার প্রবণতা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে এ ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে পণ্য ও সেবার নায্য মূল্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করা। ব্যবসা ও উৎপাদনে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা। সরকার সেই কাজটি করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট ফড়িয়া, মজুদকারি ও মুনাফালোভী, খাজনার নামে যারাই চাঁদাবাজি করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিবেন দেখবেন অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কোন পন্যের কত বাজার মূল্য সেটা নিয়োমিত রিপোর্ট করতে হবে। তাহলে ভোক্তারা অসাধু ব্যবসায়ীদের কালো থাবা থেকে রক্ষা পাবে।
জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খুলনার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ ইব্রাহীম হোসেন, কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ খান, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস, কুমারখালি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল, মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস, ক্যাব সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটো, দোকান মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অন্য দেশের রমজানে পণ্যের দাম কমলেও আমাদের দেশে দাম বেড়ে যায়। পুরো পমজান মাসের বাজার একসাথে করতে ক্রেতারা উঠেপড়ে লাগতো। যার ফলে, বাজারে সংকট সৃষ্টির দেখা দিতো। ফলে সরবরাহ কমের অযুহাতে দাম বেড়ে যেতো। যদিওবা কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নেয়, কিন্তু এর দায় নিতে হয় পুরো ব্যবসায়ী সমাজকে। তবে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে এবং মনিটরিং নিয়মিত হলে অবশ্যই দাম বাড়বে না বলে মনে করেন তারা।
সভায় ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাররা এ সভার অংশ নিয়ে সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।
