নাজমুল ইসলাম ॥ কুষ্টিয়ার সীমান্তে বিজয়া দশমীকে ঘিরে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কিন্তু এবার কঠোর নিরাপত্তা থাকায় ঠিক সুবিধা করে উঠতে পারেনি দুই বাংলার বসবাসরত মানুষ, দেখা করতে পারেনি তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে। বিজিবি ও বিএসএফ’র কড়া নিরাপত্তা থাকায় মন খারাপ করেই ফিরে যাচ্ছেন দূর দূরান্তো থেকে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে আশা হাজার মানুষ। সীমান্তের এপারে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ ওপারে ভারতের নদীয়া জেলার করিমপুর থানার শীকারপুর এলাকা। দুই বাংলাকে ভাগ করে রেখেছে পদ্মার শাখা নদী মাথাভাঙ্গা।
ধর্মদহ সীমান্তে প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ভারত-বাংলাদেশে বসবাসরত মানুষের আত্মিয়-স্বজনদের সাথে কুশলবিনিময় করতে ভিড় করেন দুই দেশের হাজারো মানুষ। প্রতিমা বিসর্জন কে কেন্দ্র করে এবার সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে ছিল দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। এরই মধ্যে দূর থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে হাত তুলে ইশারায় কথা বলেছেন অনেকে। অনেকেই আবার পরবর্তী বছরের অপেক্ষায় মন খারাপ করে ফিরে গেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উৎসুক জনতাও ভিড় জমায় এক পলক প্রতিমা বিসর্জন দেখার আশায়। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসব। ভক্তদের চোখের জলে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা।
