দুর্নীতি-টেন্ডারবাজি দেখলে মাইরি শুয়াইয়া দিবেন - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

দুর্নীতি-টেন্ডারবাজি দেখলে মাইরি শুয়াইয়া দিবেন

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: আগস্ট ১৬, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আপনাদের কাছে অনুরোধ এটা ছাত্রজনতা আন্দোলন নয়, ছাত্রজনতার আন্দোলন গণ আন্দোলনে রুপ নিয়েছে। গণজাগরণ তৈরি করুন। যেখানে দুর্নীতি সেখানে মাইরে শুয়াইয়ে দেন, যেখানে টেন্ডারবাজী  সেখানে মাইরে শুয়াইয়ে দেন। ১৭ বছর বহুত মাইর খাইছেন, এবার হাত চাঙ্গা করুন।

যেখানে টেন্ডারবাজী  ধরতে পারবেন সেখানেই মাইরে শুয়াইয়ে দেন। দুর্নীতি-টেন্ডারবাজি দেখলে মাইরি শুয়াইয়া  দিবেন। বাংলাদেশে কোনো রাহাজানি চলবে না, দুর্নীতি অনিয়ম চলবে না। পাসপোর্ট অফিসের ঘুষ, রেজিস্ট্রি অফিসের ঘুষ, মেডিকেলের ঘুষ, সকল সরকারি অফিসের ঘুষ রুখে দিতে হবে। আমরা ১৭ বছরের স্বৈরাচার হটায়ছি, আগামী ১৭ হাজার বছরে কোনো স্বৈরাচার বাংলাদেশে জন্ম নিতে পারবে না। স

প্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’র অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সারা দেশে ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার শহরের মজমপুর জমায়েত হন শিক্ষার্থীরা। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার অন্যতম সমন্বয়ক তৌকির আহমেদে তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তৌকির আহমেদ আরও বলেন, মার খাবার সময় আর নাই। যেখানে পাবেন ছাত্রলীগ, যেখানে পাবেন যুবলীগ, যেখানে পাবেন আওয়ামী লীগ গরম গরম চায়ের আপ্যায়ন করেন। ডাইনি হাসিনা পালাইছে, পলক বাবু পালাইছে, হানিফ বাবু পালাইছে, কোনো বাবুই বাংলাদেশে নাই। মেট্রোরেল পদ্মাসেতু রয়ে গেছে। মা পলাইছে সন্তানদের অবস্থা কি হবে! আহারে…, বাবা পলাইছে সন্তানের অবস্থা কি হবে।

ছাত্রলীগ এমন মা বানাইলি, মা তোদের রেখে পলাইলো রে। মা যেখানেই পলাক, এই বাংলার মাটিতে আসতেই হবে। তিনি আরও বলেন, এই অবৈধ সরকার বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেই টাকা বাংলাদেশে আনা লাগবে। এই অবৈধ সরকার নিজের নামে যতো ব্যাংক ব্যালেন্স করেছে। সকল ব্যাংক ব্যালেন্স সরকারি কোষাগারে নিতে হবে। আপনি হাসিনার ফাঁসি দিবেন, আমাদের টাকা গুলো থেকে যাবে যে ভাই।

আমাদের টাকা আগে দরকার, তারপরে হাসিনার ফাঁসি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার অন্যতম সমন্বয়ক তৌকির আহমেদ বলেন, ভন্ডামি অনেক করিছো, আগামীতে যারা ভন্ডামি করবা এইজন্য শিক্ষা নাও। ভন্ডামির কোনো সুযোগ নেই। ১৭ বছরের স্বৈরশাসন পালাইছে। ১৭ দিন ঘরে বসে থাকুন, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করুন। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করলে আপনারা যেটা চান সেটাই হবে।

নৃশংস হত্যাকাণ্ড, লুটতরাজ, ঘাট দখল, মেডিকেল দখল, বালির ঘাট দখল, রাস্তাঘাট দখল, ফুটপাত দখল, এসব ভন্ডামি শাস্তি হবে। ১৭ বছর ঘরে ছিলেন না, ১৭টা দিন ঘরে ঘুমান। ১৭ বছর ঘরে ঘুমাতে পারেননি, হামলা মামলা হয়েছে। আওয়ামী দোসর পালাইছে, বাংলাদেশে এমন কোনো দোসরকে আমরা অবস্থান নিতে দিবো না। মেডিকেলের চাদাবাজিতে, ট্রাফিকের চাদাবাজিতে, পাসপোর্ট অফিসের চাদাবাজিতে, সরকারি প্রতিটি চাদাবাজিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দূর্গ গড়ে তুলুন।

গত মঙ্গলবার শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবি উত্থাপন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দাবিগুলো হলো : ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও চৌদ্দ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।