দৌলতপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ
সারা দেশের ন্যায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরেও তীব্র তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে। বৈশাখের শেষেও দেখা মিলছেনা বৃষ্টির। তীব্র খরতাপ ও তাপদাহ থেকে থেকে রক্ষা পেতে কেউ ছুটে যাচ্ছেন গাছের ছায়ায় আবার কেউ নিচ্ছেন শীতল পানির পরশ। তারপরও মিলছেনা স্বস্থি। তীব্র তাপদাহের কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষ সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন। তাদের দৈনন্দিন আয় কমায় বেড়েছে ভোগান্তি।

দৌলতপুরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন দূর্বিসহ
কৃষিকাজ নিয়েও কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। তীব্র তাপদাহে ফসলি জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় সেচ দিয়ে ফসল বাঁচানোর চেষ্টায় ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাদের। ফলে বাড়ছে ফসল উৎপাদনের খরচ। আবার প্রতিদিন জমিতে সেচ দেওয়াও হয়ে পড়ছে তাদের জন্য দুস্কর।
দৌলতপুরের বাজুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আজমত আলী তার মরিচ ও পাট ক্ষেতে স্যালো ইঞ্জিন দিয়ে সেচ দেওয়ার সময় জানান, এভাবে প্রতিদিন জমিতে সেচ দিয়েও ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। সেচ দেওয়ার সাথে সাথেই শুকিয়ে যা হবার তাই হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই জমিতে সেচ দেওয়া লাগছে। এভাবে প্রতিদিন ফসলি জমিতে সেচ দিতে হলে ফসল উৎপাদনের খরচ বেড়ে দ্বিগুনের বেশী হবে। ফলে ফসল থেকে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হবে।
কুষ্টিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবারও ছিল একই অবস্থা। তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম অস্বস্থি। বেড়েছে নানা দূর্ভোগ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এদিকে তীব্র তাপদাহ ও অসহ্য গরমে দৌলতপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ এ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রকৃতির এ বৈরী আহাওয়া থেকে বাঁচতে বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হলেও দেখা মিলছেনা বৃষ্টির। ফলে অস্বস্থি ও দূর্বিসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণও মিলছেনা দৌলতপুরসহ কুষ্টিয়াবাসীর।
