শুক্রবার (২ ফেব্র“য়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের আটিগ্রামে জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এ বিদায় অনুষ্ঠান ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সভাপতি ড. নার্গিস আফরোজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিাসবের উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম টিপু সুলতান, কুষ্টিয়া-৩ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফীন, দিশা’র নির্বাহী পরিচালক রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য, তথ্য প্রযুক্তিবিদ ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (প্রস্তাবিত)’র সদস্য সচিব এবং উদ্যোক্তা সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর, জেলা ও দায়রা জর্জ রুহুল আমীন, নারী ও শিশু ট্রাইবুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও কুষ্টিয়া জেলা সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম, টিপু সুলতান কৃষি প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জুবদাতুন নেছা, জাস্টিস আবু জাফর সিদ্দিকী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মার্জানুল হাসান এবং ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন বিশ^াস। আরো উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হারুন অর রশিদ এবং মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম টিপু সুলতান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। তার রুপরেখা ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে দেওয়া হয়েছে। যদি কোন দল নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে তখন সেই দলের নির্বাচনী ইশতেহার রাষ্ট্রের নীতি হয়ে যায়। এখন সেই ইশতেহার কিন্তু সরকারের পলিসি হয়ে গেছে। আমরা যারা সরকারি কাজ করি এটা বাস্তবায়ন করাই আমাদের দায়িত্ব। এটি নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার, সেটা দিয়ে কাজ করে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। এছাড়ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, যেসকল ছাত্র-ছাত্রী বিদায় নিতে যাচ্ছো তাদের জন্য আমি দোয়া করি তোমরা পরীক্ষায় ভালো করবে। শুধু এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করাই নয়, আমরা এই অঞ্চলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করে বেকারত্ব দূরীভূত করে ভালো মানুষ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসাবে আমরা অনুমোদন পেয়েছি, অল্প দিনের মধ্যে ভর্তি শুরু হবে। কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশ হিসাবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই কৃষি নির্ভর। সেই কারণে আমার এখানে ইতিমধ্যে কৃষি ইনস্টিটিউটও করেছি। একই সাথে এই অঞ্চলের মানুষদের যাতে বাইরে না যেতে হয় তাই কুষ্টিয়াতে ইতিমধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষ একটি সুন্দর ভবিষ্যত নিয়ে এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
