ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগনের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রস্তুত জেলা পুলিশ : এসপি খাইরুল আলম
ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগনের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রস্তুত জেলা পুলিশ : এসপি খাইরুল আলম। আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলাব্যাপী প্রায় দুই লক্ষ গরু পালন করেছেন সাধারন কৃষক এবং খামারীরা। যার অধিকাংশই বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হয়। কুষ্টিয়া জেলায় পালিত গরু ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পশুহাটে নেওয়া হয়ে থাকে। ভাগ্য সহায় থাকলে অনেকে তাদের পালিত গরু বিক্রি করে বাড়ীতে ফিরে চাঁদ রাতে। আবার অনেকেই গরু বিক্রি করতে না পেয়ে বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগনের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে প্রস্তুত জেলা পুলিশ : এসপি খাইরুল আলম
যাদের গরু বিক্রি হয়ে যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাংকিং ঝামেলার কারনে নগদ টাকা সঙ্গে করে নিয়ে বাড়ীতে ফেরেন। কিন্তু এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াতেও ঈদ উল আযহা’র পূর্বে সক্রিয় হয়ে উঠে চোর, ডাকাত ও ছিনতাই চক্রের সদস্যরা।
এছাড়ও ঈদের ছুটি পরিবারের সাথে কাটাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে কুষ্টিয়ার বাইরে থাকা কয়েক লক্ষ মানুষ ঈদ উপলক্ষে বাড়ীতে ফিরতে শুরু করেন। অধিকাংশ মানুষ নিরাপদে বাড়ীতে ফিরতে পারলেও অনেকেই পথিমধ্যে ডাকাত ও ছিনতাই এর শিকার হয় ।
এই সব সমস্যার কথা চিন্তা করেই কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নির্দেশে সাধারন মানুষের ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ করতে জেলাব্যাপি মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ । এ সকল পুলিশ সদস্যরা জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান, বাসষ্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশন, স্থানীয় পশুহাট, স্থানীয় বাজার ও মার্কেটে পোশাকে ও পোশাকবিহীন অবস্থায় ইতিমধ্যে দিন রাত ২৪ ঘন্টা কাজ শুরু করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, আমরা প্রতিবারের ন্যায় সাধারণ জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এবারও ঈদ উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। আশাকরি সাধারণ মানুষ র্নিবিঘ্নে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য এবং ঈদ যাত্রা করতে পারবে।
সাধারণ যাত্রীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানান, আপনারা যারা বিভিন্ন শহর থেকে বাড়ীতে ফিরবেন, তারা অবশ্যই ছিনতাইসহ অনান্য দূর্ঘটনার কথা মাথায় রাখবেন। যে কোন প্রয়োজনে পুলিশকে জানালে, পুলিশ আপনাদের পাঁশে দাঁড়াবে। তবে রাত বেশী হয়ে গেলে রাস্তায় না বের হাওয়ায় উত্তম। প্রয়োজনে আপনারা পার্শ্ববর্তী থানায় অবস্থান করবেন এবং ভোর হাওয়ার পর সুবিধামত সময়ে আবার যাত্রা করতে পারেন। এই বিষয়ে সমস্ত থানাগুলোকে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া আছে ।

এসপি খাইরুল আলম আরো জানান, গরু ব্যবসায়ীসহ যারা কুষ্টিয়ার বাইরের শহরে তাদের পশু বিক্রয়ের জন্য নিয়ে গেছেন, তাদের অধিকাংশই গভীর রাতে বাড়ীতে ফেরেন। তাদের সুবিধার জন্য কুষ্টিয়া সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ পুলিশ চেকপোষ্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সমস্ত হাইওয়েসহ জেলা প্রতিটি রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ টহল ইতিমধ্যে জোরদার করা হয়েছে। আপনাদের যাত্রা নিরাপদ করতে এবং জান ও মালের নিশ্চয়তা প্রদানে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।
কিশোর এবং যুবকদের উদ্দেশ্যে খাইরুল আলম বলেন, যারা সড়কে ডিজে পার্টির নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, আঁতশবাজী করবে এবং উচ্চশব্দে গান বাজাবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে ।
