টাকা দিয়েও প্রতিবন্ধী ও সরকারী চাউলের কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

টাকা দিয়েও প্রতিবন্ধী ও সরকারী চাউলের কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: এপ্রিল ১, ২০২৩
টাকা দিয়েও প্রতিবন্ধী ও সরকারী চাউলের কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ

কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলা ৬ নং চাপড়া ইউনিয়ন যেন দূর্নীতির অভয় আরণ্যে পরিণত হয়েছে । সেখানে টাকা এবং দালাল ছাড়া মেলে না সরকারী কোন সেবা । টাকা দিয়েও মেলে না সরকারী চাউলের কার্ড, প্রতিবন্ধী ভাতা’র কার্ড । এই সমন্ত অনিয়মের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামূল হক মনজু’র নিকট অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা । অভিযোগ দিয়ে উল্টো ভুক্তিভোগীদের হতে হচ্ছে নানা প্রকার হয়রানির শিকার ।

টাকা দিয়েও প্রতিবন্ধী ও সরকারী চাউলের কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ

টাকা দিয়েও প্রতিবন্ধী ও সরকারী চাউলের কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ

টাকা দিয়েও প্রতিবন্ধী ও সরকারী চাউলের কার্ড না পাওয়ার অভিযোগ

জানা যায়, কার্ড দেওয়ার নামে চাপড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামূল হক মনজু’র আস্থাভাজন পরিচয় দিয়ে বাবুল একাধিক মানুষের থেকে জন প্রতি ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার নিয়েছে । টাকা নিয়ে কার্ড দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে, কার্ড না দিয়ে হয়রানি করছে দিনের পর দিন।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

এ বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোকসানা বলেন, “চাপড়া ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার বাবলু আমাকে বলে চেয়ারম্যান মঞ্জুর সাথে আমার হাত আছে সে নিজে টাকা খেতে পারে না, আমি টাকা নিয়ে চেয়ারম্যান কে দিই। আমার স্বামী সাহাদুল একজন প্রতিবন্ধী মানুষ তাকে কার্ড করে দেবে বললে আমি সমিতি থেকে কিস্তি তুলে ৫ হাজার টাকা বাবুলকে দিয়েছি। কিন্তু বাবুল এখন আমাদের দিনের পর দিন ঘোরাচ্ছে”।

রোকসানা আরো বলেন, সরকার সহায়তা করছে গরিবের জন্য। আসলে গরিব লোকেরা কিছু পায় না, পায় ধনীরা। মুখ চিইনা চিইনা তাদের দেয়। আমাদের গরিবের যতটুকু দয়া করে- শুধু আল্লাহই করেন।

নাইম নামের এক যুবক বলেন, “চাউলের কার্ড নেওয়ার জন্য আমি বাবলু কে ৪ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন সে নাকি কার্ড করে দিতে পারবে না। পরে আমি টাকা ফেরদ চাইলে সে আমার নিকট থেকে সময় নেয় । ইতিমধ্যে তিনবার সময় নিয়েও সে এখন পর্যন্ত আমার টাকা ফেরৎ দেয়নি ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক এলাকাবাসী জানায়, এই ওয়ার্ডে প্রাায় শতাধিক কার্ড বিতরণে নয়-ছয় হয়েছে। বাবুল সহ বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন লোক আছে । যারা এই সমস্ত অপকর্মের সাথে জড়িত । যে বেশি টাকা দেয়, সেই কার্ড পায়। এই ইউনিয়নে নাগরিক সেবার নামে প্রতিনিয়ত নানা প্রকার অনিয়ম ও দূর্ণীতি হচ্ছে । চেয়ারম্যান এবং তার আস্থাভাজন দালালদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পায় না । তদন্ত করলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে ।

এই সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামূল হক মনজু’র মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, আমি এই বিষয়ে তদন্ত করেছি । যেই মেয়েটা অভিযোগ করেছিলো সে বাবলু’র বাড়ীতে গিয়েছিলো । সেখানে মেয়েটি বলেছে কবুরহাটের লিটন নামের একটা ছেলে শিখিয়ে দিয়েছে । এতটুক পর্যন্ত আমি জানছি আর কি ।

এই বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডলের কাছে জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না । তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করে, তা হলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

আরও পড়ুন