নিজ সংবাদ ॥ রুপালী পর্দার ‘মন্দ মানুষ’ হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছেন আহমেদ শরীফ। তার দাপুটে অভিনয়ে মুগ্ধ হতেন দর্শক। গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয় করে যাচ্ছেন। ছয় বছর ধরে পরিবার নিয়ে আহমেদ শরীফ নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন। সুযোগ পেলেই দেশে আসেন। গেল বছর ‘রাজকুমার’ সিনেমাতে অনবদ্য অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন বর্ষিয়ান এই অভিনেতা। সম্প্রতি দেশে ফিরে একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথাও জানিয়েছেন আহমেদ শরীফ। আহমেদ শরীফ মনে করেন, শুধু চলচ্চিত্র না, সবাই জানে পুরো দেশের সব সেক্টরে বৈষম্য ছিল। এ কারণে ছাত্ররা আন্দোলন করেছিলেন। ”সব সেক্টরের মতো চলচ্চিত্রেও বৈষম্য ছিল। চলচ্চিত্রে আমার ৫৩ বছরে ৮৫০টি সিনেমা করেও আজীবন সম্মাননা পাইনি। তিনি বলেন,“চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ছিলাম। এতগুলো বছরের ক্যারিয়ারে মনে হয় না আমার কম অবদান আছে।
বাংলাদেশের মানুষকে গত ৫৩ বছরে আমি যথেষ্ট আনন্দ বিনোদন দিয়েছি। আমি যে ধরনের চরিত্র করেছি মানুষ সেটা সত্যি ভেবে আমাকে গালমন্দ করেছে। যদি না করতো তাহলে মনে করতাম আমি ব্যর্থ। অথচ অল্পকিছু কাজ করেও অনেকে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। হয়তো বৈষম্যটা আমার ঘাড়ে চেপেছে। কথা প্রসঙ্গে আহমেদ শরীফ জানান, তার মেয়ের লেখাপড়ার কারণে নিউ ইয়র্কে থাকেন। কিছুদিনের মধ্যে তার লেখাপড়া শেষ হলে সেখানেই সে স্থায়ী হবেন। সুযোগ পেলে দেশে থেকে আমি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে নিজেকে রাখতে চাই। সরকার যদি আমাকে দায়িত্ব দেয় নেব। আর যদি না পাই তবে নিজের শেষ জীবনে একটাই চাওয়া, নিজের শহর কুষ্টিয়ার মেয়র হতে চাই। আমার ছোট্ট শহরকে ঢেলে সাজাতে চাই। এটা আমার ইচ্ছে। আহমেদ শরীফ জানান, জাতীয় নির্বাচন করার মোটেও ইচ্ছে নেই তার। বলেন, এই বয়সে পারবো কিনা জানি না। আমার অনেকদিনের ইচ্ছে আমার শহর কেন্দ্রিক ‘সিটি ফাদার’ হওয়ার। যেটা হবে সারা দেশের রোল মডেল। পানির সুব্যবস্থা থেকে বাড়িঘর সবকিছু সাজানো থাকবে।
