চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ৫, ২০২৩
চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ নাহার ক্লিনিকে অপারেশন করতে গিয়ে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ওই প্রসূতি মায়ের নাম শিল্পী খাতুন ( ৩৪)। এ ঘটনার পর ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক রয়েছে।

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক

৩ জুন রাতে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই ক্লিনিকের বেশ কয়েকজন দালাল মৃত প্রসূতি পরিবারের সদস্যদের সাথে দফায় দফায় টাকার প্রস্তাব দিয়ে সমোঝতার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। পরিবারের দাবি চিকিৎসকের অবহেলার কারণে এই প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। (৪ জুন) দুপুরে লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। সন্ধায় দোস্তপাড়া গোরস্তানে লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

জানাযায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়া এলাকার ক্যানাল পাড়ার শিল্পী খাতুনের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে এক দালাল তাদের পোড়াদহ নাহার ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর একজন নার্স জানান ডাক্তার নেই, আবার অন্য স্টাফ পরিচয়ে এসে বলে ডাক্তার আছে রোগীকে দ্রুত ওটি রুমে নিয়ে যেতে হবে। এই বলে তারা তরিঘরে করে রোগীকে ওটিতে নিয়ে যায়। কিন্তু কোন ডাক্তার সিজার করবেন কিছুই রোগীর স্বজনদের জানানো হয়নি। শুধু পরিবারের সদস্যদের সম্মতি পত্রে সাক্ষার করিয়ে নেন। কিছুক্ষন পরে ক্লিনিকের স্টাফ পরিচয়ে একজন জানান প্রসূতির শারীরিক অবস্থা ভালো না দ্রুত সিজার করতে গিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে । কিছু না বুঝে হতাশ হয়ে ক্লিনিকে বসে থাকে প্রসূতি শিল্পী মা আছমা খাতুন ও নানী শান্তি খাতুন।

এর বেশ কিছু সময় পরে একজন নার্স এসে জানায় প্রসূতির প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এক পর্যায়ে জানান অপারেশন রুমেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ সংবাদ শুনে প্রসূতির মা এবং নানী চিৎকার করে কান্না করতে থাকে। তাদের কান্না দেখে ছুটে আশে আশপাশের লোকজন এবং পরে সেখানে ছূটে যায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ঘটনার পর পরই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সিজার করা ভুয়া ডাক্তার ও ক্লিনিকের মালিক। কৌশলে সটকে পড়ে নার্স। সেখানে শুরু হয় শোরগোল চেচামেচি। খবর পেয়ে ছুটে যায় মিরপুর থানা পুলিশ।

চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিক পলাতক

এরই মাঝে এলাকার দুই দালাল মালিক পক্ষের সাথে চুক্তি করে কখনো ২ লাখ কখনো আড়াই লাখ টাকায় মামলা না করার জন্য শিল্পীর পরিবারের সদস্যদের সাথে সমোঝতার লক্ষে দফায় দফায় প্রস্তাব দিতে থাকে। এভাবে ক্লিনকের গোপন কক্ষে দফায় দফায় চলে আলোচনা। কিন্তু শিল্পী পরিবার রাজি না হওয়ায় শেষমেশ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে এবং নবজাতক শিশু ছেলেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

মৃত প্রসূতি শিল্পীর মা আছমা খাতুন বলেন, কোন চিকিৎসক অপারেশন করছে আমাদের জানানো হয়নি, চিকিৎসকের অসতর্কতা অবহেলায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এটি কোন দুর্ঘটনা নয়, তাদের গাফিলতির কারণে এ মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

মিরপুর থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। প্রসূতির মৃত দেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। এলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন: