নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়া পৌর ১৬ নং ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়ী বাঁধ (উত্তর কমলাপুর) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়াই হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং গৃহ পালিত পশু আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মোঃ আরমান জানান,বিবাদী ১। মোঃ জাহিদ (৩৫), পিতা- মোঃ গেদু, ২। মোঃ তাজেম (৩৭), পিতা- অজ্ঞাত, ৩। মোঃ নুরুদ্দিন (৪০), পিতা- অজ্ঞাত, ৪। আশা (৩৮), পিতা- দবির, ৫। সাইদুল (৩৬), পিতা- অজ্ঞাত, ৬। শাওন (৩৫), পিতা- শাহিন, ৭। লালচাঁদ (৩৩), পিতা- পোকা, ৮। মোঃ মনিরুল (৩৪), পিতা- জামাল, ৯। রিংকু (৩২), পিতা- নুরুদ্দিন, ১০। হাবিব (৩৫), পিতা- অজ্ঞাত, ১১। মোঃ নাসির (৩৭), ১২। মোঃ নাহিদ (৩৫), উভয় পিতা- ছলিম, সর্ব ঠিকানা মঙ্গলবাড়ীয়া।
অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জন দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা চাওয়ায় আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অনুমান রাত্র ১০টার সময় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র, লাঠি সোঠা নিয়ে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বাড়ি সহ আশেপাশের পাড়া-প্রতিবেশীদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে এবং ঘরের মধ্যে থাকা স্বর্ণের গহনা, আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্রাদি ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। যাহা ১নং, ২নং ৫নং, ১০নং বিবাদী আমার ঘরে প্রবেশ করে ধারাল অস্ত্রের সম্মুখে ঘরে থাকা নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণের গহণা, আনুমানিক মূল্য- ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা, ২টি ৩টি ছাগল, আনুমানিক ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, আগুনে পুড়ে আনুমানিক ১০,০০,০০০/-(দশ লক্ষ) টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
এছাড়া আমার পাড়াপ্রতিবেশিদের বাড়ি হইতে নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা, আসবাবপত্র সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অস্ত্রের সম্মুখে লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করে। ঘটনার সময় সাক্ষী ১। মোঃ সালাম, পিতা- মৃত মীর আলাউদ্দিন,২। বাবু, পিতা- জালাল, ৩। আবু কালাম, পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব ঠিকানা-মঙ্গলবাড়ীয়া বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় এবং আরও অনেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। বিবাদীগণ অদ্যাবধি পর্যন্ত আমাদের খুন জখমের হুমকি ধামকি করে যাচ্ছে । এমতাবস্থায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসিকে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নাই তবে যদি লিখিত অভিযোগ করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
