বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার, অবৈধ দোকানপাট এবং অটো ও থ্রি-হুইলার সিএনজি স্ট্যান্ড। এতে মহাসড়কের অর্ধেকের বেশি জায়গা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে কুষ্টিয়ার ভাদালীয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন ছোট-বড় বাজার এলাকায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। সড়কের ওপর অস্থায়ী অবৈধভাবে দোকান বসানো ও যত্রতত্র টেম্পু ও সিএনজি স্ট্যান্ড স্থাপনের কারণে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য নির্মিত ফুটপাতগুলোও দখল হয়ে পড়ায় পথচারীরা বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কেই চলাচল করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন এভাবে সড়ক দখল চলতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর ও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের মতে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ এবং হাইওয়ে পুলিশের সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করা হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। যদিও কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী ফল আনতে পারেনি।
অভিযান শেষে কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে মহাসড়কের পরিস্থিতি। কুষ্টিয়া জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান জনাব মনজুরুল করিম জানান, জেলা প্রশাসন আমাদের যখন জানাবে আমরা তখনই প্রস্তুত অভিযানে যেতে । এ বিষয়ে কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ বলেন, “আমি নিজ উদ্যোগে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু কয়েকদিন পর আবারও সড়ক দখল শুরু হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ মহাসড়কের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দায়িত্বশীল সংস্থা একযোগে অভিযান পরিচালনা করলে তবেই এর স্থায়ী সমাধান সম্ভব।” এদিকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা অবিলম্বে মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে কঠোর ও নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন।
