কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে পালন - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে পালন

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: অক্টোবর ২৩, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে পালন

আইন মেনে সড়কে চলি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে ২০২৩ পালন করা হয়েছে। ২২ অক্টোবর রবিবার সকাল ৯ টাই জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কুষ্টিয়া সার্কেলের আয়োজনে জাতীয় সড়ক দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রথমেই বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা পরে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি করা হয়, পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে পালন

কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে পালন

কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে পালন

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি বর্মন, কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে এসময় সড়ক দিবসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, ট্রাক ট্রাংক-লরি কার্ভাট ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলি আকবর,বাস-মিনিবাস কোচ ইউনিয়নের সভাপতি  শমাহাবুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি নরেন্দ্র নাথ সাহা।

প্রধান অতিথির বক্তব্য জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন বাংলাদেশে ২০২০ সালে বাংলাদেশ ৮ হাজার ৬৯০ টার বেশি এক্সিডেন্ট হয়েছে, ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে, আর ২০২২ সালে বাংলাদেশ প্রায় ২২ হাজারের বেশি এক্সিডেন্ট বাংলাদেশে হয়েছে৷ প্রত্যেকদিন বাংলাদেশে রোড এক্সিডেন্টে ১৮ থেকে ২০ জন মারা যায়। আর যারা মারা যায়না তারা বড় ধরনের আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যায়, আর তখন তার পরিবার পথে বসে যাই, যত বেশি স্পীডে গাড়ি চলবে তত বেশি এক্সিডেন্ট হবে এবং ক্ষতি বেশি হবে।বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি, আর গাড়িও  অনেক বেশি তাই রাস্তা সবসময় ফাকা পাওয়া যায়না, তাই সবসময় স্বাভাবিক ভাবে গাড়ি চালাতে হবে।দ্রুত কোথায় যাওয়ার জন্য এক্সিডেন্ট এ যদি মারায় যায় তাহলে আর কি হলো। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন গুলো প্রশাসন রাস্তায় আটকায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এতে অনেকটাই সড়কে এক্সিডেন্ট কমছে, আপনি যতই দক্ষ চালক হন না কেন যদি গাড়িটার ফিটনেস না থাকে তাহলে কিন্তু এক্সিডেন্ট হবেই। আল্লাহ কিন্তু সকল কিছুই সৃষ্টি করেছেন মানুষের কল্যাণে। সমস্ত পেশাজীবী মানুষ যদি গাড়ি চালক প্রয়োজন হয় তাই তাদের সুবিধা অসুবিধাও দেখতে হবে। ট্রাফিক রুলস সবসময়ই পালন করে চলতে হবে, ইতিমধ্যেই সরকার রোড এক্সিডেন্ট কমাতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তাই সবাই মিলে সচেতন হয়ে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে হবে।

কুষ্টিয়ায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে পালন
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি বর্মন বলেন কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রচুর এক্সিডেন্ট হয়, এখানে নসিমন করিমন সহ অসংখ্য সরকারি অনুমোদনহীন গাড়ি আছে, বাংলাদেশে এখন হাজার হাজার ইজি বাইক, আর এর ইজি বাইকের উপর বাংলাদেশে অনেকগুলো পরিবারের ভরণপোষণ জড়িত, তাই ইচ্ছা করলেও আমরা তা বন্ধ করতে পারিনা, তবে আমরা যদি সচেতন হই তাহলে অনেকটাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসায় বাংলাদেশে অনেকগুলো ট্রমা সেন্টার আছে। তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব সবাই একত্রিত হয়ে নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে কাজ করবো।