কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান অরুনসহ ১৪ জনের নামে দোকানঘর ভাঙচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি এবং মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হোমিওপ্যাতি চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এছাড়াও মামলায় ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি মো. আকিবুল ইসলাম। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি পুলিশ। অন্যান্য আসামিরা হলেন-পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান নিপুন (৪১), উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ (৫০), পৌরসভার ৫ নম্বর কাউন্সিলর এস এম রফিক (৪০), কাজল আহম্মেদ কাজু (৫০), মোহাঃ সানি (২৫), ওসমান শেখ (৫৫), শাকিল শেখ (৩৫), ইমরান হোসেন (২৫), পাত্র হোসেন (২০), সোহাগ আলী (৩০), সেলিম হোসেন (৩০), রাশিদুল ইসলাম (২৪) ও মিল্টন হোসেন (২২)।
মামলার বাদী হোমিওপ্যাতি চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, ৪ আগষ্ট দুপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে মেয়র সামছুজ্জামান অরুনসহ অন্যান্য আসামিরা দোকানে এসে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। বাঁধা দিলে আসামিরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারপিট করে। আমি স্ষ্ঠু বিচারের আশায় গত মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছি। তাঁর ভাষ্য, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার টাকা চুরি এবং দোকানে ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওসি আকিবুল ইসলাম জানান, সাবেক মেয়রসহ ১৪ জনের নামে ভাঙচুর, চুরি ও মারপিটের অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে মামলা করেছেন এক চিকিৎসক। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
