কুমারখালীতে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্প মাল্য অর্পণ ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
১৯৭১ সালের (৮ই নভেম্বর) পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকার আলসামস আলবদরদের সাথে কুষ্টিয়া কুমারখালীর ঘাসখাল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্প মাল্য অর্পণ ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুমারখালীতে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্প মাল্য অর্পণ ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
(৮ নভেম্বর) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের ঘাসখাল গ্রামে স্মৃতি সৌধ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে ঘাসখাল মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয় ও ঘাসখাল মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধে পুষ্প মাল্য অর্পণ শেষে মোনাজাত করা হয় এবং গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে স্মরণ সভা শুরু হয়। সভায় বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এ সময় ঘাসখাল স্মৃতি সৌধ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট কমান্ড’র সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক কুমার ঘোষ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সামছুজ্জামান অরুন, কুমারখালী থানা অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম, কুমারখালী উপজেলা কমান্ড সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম ওয়াহেদ পান্না, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুদ্দিন মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম নূরু, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার নাগ, কুমারখালী উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জয়দেব কুমার বিশ্বাস, কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন অর রশীদ হারুন।

শিশির আহমেদ নয়নের সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল মতিন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খন্দকার আব্দুল মতিন, সদকী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ, সদকী ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি বাবর আলী মেম্বর, কুমারখালী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল মোক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাইফুল ইসলাম।
এই সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি বলেন, এক সময় এই দেশে মুক্তিযোদ্ধারা ভয়ে মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকার করতে’ ভয় পেতো। এই সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধের সন্মানিত করেছে। আগামী নির্বাচনে সবাইকে এই সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আসতে কাজ করতে হবে।
