দৌলতপুরে সাংবাদিক আছানুল হকের মায়ের উপর হামলা :ঘটনা স্থান পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
কুষ্টিয়া দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আছানুল হকের মায়ের উপর হামলায় ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (২৫ শে অক্টোবর) দুপুরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করার সময় প্রতিবেশী সুদ ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের ছেলে রোহান (২০) ও তার পরিবারের লোকজন হামলা চালিয়ে আহত করেন আছানুল হকের মা রুমিয়া খাতুনকে ।

দৌলতপুরে সাংবাদিক আছানুল হকের মায়ের উপর হামলা :ঘটনা স্থান পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী, বলেন আছানুল হকের মা রুমিয়া খাতুন নিজ বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন। এ মত সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম দারের পাড়া থেকে সান্টু ডাক্তার নামে এক ব্যক্তি রোহানের দাদা মোজ্জাম্মেল হকের কাছে পাওনা টাকা চাইতে আসে। কিন্তু টাকা না পেয়ে সান্টু ডাক্তার ফিরে যাওয়ার সময় বলতে থাকেন এরা এত খারাপ লোক প্রতিদিন বকেয়া টাকা না দিয়ে ঘুরায়। এমত অবস্থায় আছানুল হকের মা বলেন আপনি তো আজ কয়দিন ঘুরছেন আমি প্রায় ৭ হাজার টাকা পাবো ৩ বছর আজ কাল বলে ঘুরাচ্ছে। এই কথা বলে আছানুল হকের মা বাড়ির ভিতরে চলে যায়। পরে রোহান, মা বিউটি ও দাদা মোজ্জাম্মেল হক আছানুল হকের মাকে ধরে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বাহিরে নিয়ে আসে এবং রোহান তাকে পরনে পরিহিত জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে।
এ বিষয়ে আছানুল হক বলেন, আমি দুপুরে দৌলতপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম এর কাছে একটি নিউজের কাজে বসা ছিলাম। এমন সময় আমার মুঠোফোনে ফোনকল আসে তোমার মাকে রোহানরা মারপিট করছে। তখন আমি বাড়িতে গিয়ে মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয় দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ঘটনা শোনার সাথে সাথে পুলিশ পাঠান বলে জানিয়েছে আছানুল হক।

এ বিষয়ে বুধবার বিকালে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন দৌলতপুর ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসীন আল মুরাদ। এ সময় তিনি বলেন এ ঘটনার সাথে সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দৌলতপুরের সাংবাদিক সমাজ।
