কুমারখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
কুমারখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মহামান্য আদালতের স্থগিতাদেশ অমান্য করে নালিশী সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওই নালিশী সম্পত্তির উপর শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা মোতাবেক স্থগিতাদেশ প্রদান করেন এবং পক্ষদ্বয়কে নিজ নিজ স্বত্ব দখলীয় অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন।

কুমারখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

কুমারখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

কুমারখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

এছাড়াও বিবাদী পক্ষকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কুমারখালি থানার অফিসার ইনচার্জকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ আদালতের এই আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নালিশী সম্পত্তিতে প্রাচীর নির্মাণ করেছেন।

google news

গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

জানা যায়, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুন্ডুপাড়া এলাকার মৃত জবেদ আলী মোল্লার ছেলে ও কুমারখালী এমএন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম এবং মৃত করুনা পালের ছেলে ও কুমারখালী এমএন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাধন কুমার পাল সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে দলবদ্ধভাবে সশস্ত্র হয়ে এলঙ্গী এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে মেজবাহুর রহমান ও তাঁর ভাই-বোনদের এসএ খতিয়ান ৬১৪ ও আরএস খতিয়ান ২৮৮২ দাগের .১৩ (দশমিক এক তিন) একর জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে প্রচীর নির্মাণ ও গাছপালা কেটে ফেলার হুমকি দেন।

পরদিন মেজবাহর রহমান আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা মোতাবেক স্থগিতাদেশ প্রদানের জন্য আবেদন করেন। আদালত উক্ত আবেদন মঞ্জুর করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা প্রদান করেন এবং নালিশী সম্পত্তিতে স্থগিতাদেশ প্রদান করে উভয়পক্ষকে স্ব স্ব স্বত্ব দখলীয় অবস্থানে থাকার আদেশ দেন। উক্ত স্থানের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কুমারখালি থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন।

পুলিশ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত স্থানের প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পরেই আবার পুনরায় প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নালিশী সম্পত্তির উপর রাজমিস্ত্রী ও তাদের সহযোগীরা মিলে প্রায় ৫/৬ জন লোক প্রাচীর নির্মাণের কাজ করছেন। তাঁরা জানান পুলিশ চলে যাওয়ার পর স্কুলের স্যারের নির্দেশে আবার কাজ শুরু করেছেন।

মেজবাহুর রহমান বলেন,”আমরা আদালত থেকে ১৪৪ ধারা পেয়েছি। তাঁরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে এখানে প্রাচীর নির্মাণ করছেন।” এবিষয়ে জানতে কুমারখালী এমএন পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ খায়রুল বাশার মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা আদালতের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেছি।”

আরও পড়ুন: