কুমারখালীতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্য গ্রেপ্তার - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুমারখালীতে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আন্তঃজেলা ইজিবাইক চোর চক্রের মূলহোতা রুবেল হোসেনসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে এবং গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ভোরে রাজবাড়ী, কুমারখালী, কুষ্টিয়া শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। পরে বিকেল ৩টা ১৫মিনিটের দিকে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এস আই) বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের রুবেল হোসেন (২৮) ও দয়রামপুর গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে আমিরুল ব্যাপারী (৫০) এবং যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের সুরুজ শেখের ছেলে বকুল হোসেন (২২)।

অপর দুইজন হলেন-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আড়ুয়াপাড়া এলাকার মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে মো. হেলাল (৩৭) ও  চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার জয়রামপুর এলাকার মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন (৪৫)। পুলিশ জানায়, চোর চক্রের মূলহোতা রুবেল হোসেন কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার চাঁদাগাড়া এলাকার ছের আলীর ইজিবাইক চালক ছেলে জুবায়ের আহমেদ হেলারের বাড়িতে প্রায় ৩৫ দিন ভাড়ায় ছিলেন। ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে হেলালের ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে রুবেল ও তার সহযোগীরা কুমারখালীর ছেঁউরিয়ায় অবস্থিত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজারে আসেন।

সে সময় রুবেল এক বোতল জুস কিনে অর্ধেক পান করেন এবং অবশিষ্ট জুস ইজিবাইক চালক হেলালকে দেন। তিনি জুস পান করে অজ্ঞান হয়ে গেলে চক্রটি ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হেলাল শুক্রবার রাত ১২টার পরে রুবেলকে আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি চুরির মামলা করেন। ওই রাতেই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূলহোতা রুবেলকে তার শ্বশুর বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশার নওয়াপাড়া রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তার দেওয়া তথ্যমতে কুষ্টিয়া শহরের একটি ভাড়া মেস থেকে আমিরুল, ফরিদ ও হেলাল এবং যদুবয়রার উত্তর চাঁদপুর থেকে বকুলকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে একটি ইজিবাইক জব্দ করেছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হননি মামলার বাদী জুবায়ের আহমেদ হেলাল। তিনি শুধু বলেন, ‘ আমার অটোগাড়ি চুরি হয়েছিল। থানায় মামলা করেছি। গাড়িটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশের সঙ্গে কথা বললে ভাল হবে। কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, চক্রটির মূলহোতা রুবেল প্রথমে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে ৩৫ দিন ছিল। মাঝখানে হুট করে অন্যত্রে চলে যায়। এরপর আবার ১৬ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসে এবং ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে বাদীর ইজিবাইকে লালন মাজারে ঘুরতে যান। সেখানে জুস পান করিয়ে অজ্ঞান করে চালক ফেলে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নথিভুক্তের পর অভিযান চালিয়ে রুবেলসহ আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়। চক্রটির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না?  এসব নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। তার ভাষ্য, চক্রটি বিভিন্ন শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম চালাচ্ছিল বলে জানা গেছে।