আমরা বিভেদের দেয়াল ভেঙে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে চাই: প্রকৌশলী জাকির সরকার  - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

আমরা বিভেদের দেয়াল ভেঙে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে চাই: প্রকৌশলী জাকির সরকার 

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: নভেম্বর ১৩, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে শ্রী শ্রী তারকব্রমী মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উৎসব অঙ্গন’ শিবপুর কমল আশ্রম প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানের ২য় দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপি সদস্য সচিব ও কুষ্টিয়া-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।

এতে সভাপতিত্ব করেন নয়ন চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি সদস্য আব্দুল মঈদ বাবুল, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক আরিফুর রহমান সুমন, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমূখ। তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ধর্ম আমাদের মানবতার শিক্ষা দেয়।

ধর্মের আসল মর্ম হচ্ছে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা গড়ে তোলা। “ধর্ম যার উৎসব সবার” তাদের এই নামযজ্ঞের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাজে শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দেয়। এ ধরনের আয়োজন আমাদের সামাজিক বন্ধন আরও মজবুত করে। তিনি বলেন, রাজনীতি হোক মানবকল্যাণের জন্য, ধর্ম হোক মানবমুক্তির পথ। আমরা সবাই মিলে কুসংস্কার ও বিভেদের দেয়াল ভেঙে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে চাই। প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আরো বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আমরা গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই করে যাচ্ছি। মানুষ যাতে ভোটাধিকার ফিরে পাই সেই চেষ্টা করছি। আসন্ন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ। অনুষ্ঠানে এলাকার ভক্তবৃন্দ, আশপাশের গ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। ভোর থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে নামসংকীর্তন, ভজন ও ধর্মীয় আলোচনার আসর। নামযজ্ঞ উপলক্ষে পুরো এলাকাজুড়ে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

ভক্তদের জন্য ছিল প্রসাদ বিতরণ ও ধর্মীয় আলোচনা সভা। স্থানীয় সমাজসেবক ও জনপ্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সভাপতি জানান, “নিয়মিতভাবে এই নামযজ্ঞের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য। তিনদিনব্যাপী এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে পূর্ণাহুতি ও ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে নামযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটবে।