ইবি থানা প্রতিনিধি ॥ ধর্মীয় শিক্ষার আশায় সন্তানদের কুষ্টিয়ার এক মাদ্রাসায় ভর্তি করেছিলেন অভিভাবকরা। কিন্তু সেই মাদ্রাসাতেই শিক্ষক পরিচয়ে লুকিয়ে ছিলেন এক শয়তান। অভিযোগ, মাদ্রাসা শিক্ষক ওসমান গণি একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করতেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানাধীন ১১ নং আব্দালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আব্দালপুর দারুল উলুম কারিমিয়া মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত ওসমান গণি (৪৪) ভেড়ামারা থানার ধরমপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক ওসমান গণি দীর্ঘদিন ধরে তাকে নির্যাতন করতেন। সহ্য করতে না পেরে একসময় সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। পরে পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। বিষয়টি মাদ্রাসা কমিটিকে জানালে তারা ‘প্রতিষ্ঠানের মানহানি হবে’ এই যুক্তিতে ঘটনাটি গোপন রাখতে বলেন এবং নামমাত্র শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত শিক্ষকের তিন মাসের বেতন কর্তন করেন। আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, রাতে বড় হুজুর তাকে উপরতলায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করতেন এবং ভয়-ভীতি দেখাতেন।
মাদ্রাসার সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এমন ঘটনা আমাদের জানা নেই।” অভিযুক্ত শিক্ষক ওসমান গণি অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “আমার মেধাবী শিক্ষার্থীদের কেউ প্রতিহিংসা থেকে এসব বলছে।” ইবি থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, “এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
