নিজ সংবাদ ॥ ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ায় জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারী) সকালে র্যালি শেষে কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন নিশাত এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বশিরুল আলম চাঁদ, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আল আমিন কানাই ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল হাকিম মাসুদ সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মিরা।
র্যালি ও আলোচনা সভায় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মাজেদ, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তালেব, জেলা বিএনপির সদস্য শহিদুজ্জামান খোকন, সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আওয়াল বাদশা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু সাঈদ জাকারিয়া উৎপল, শহর যুবদলের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান জনি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিথুন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আর শিপন বিশ্বাস, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জামির হোসেন ও মনিরুল ইসলাম, সদর থানা ছাত্রদলের আহবায়ক সোহাগ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সজীব হোসেন, শহর ছাত্রদলের আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ সজল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েল উদ্দিন, সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম সহ দলীয় অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
র্যালি শেষে বক্তব্য প্রদানকালে জেলা বিএপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, ছাত্রদলের ইতিহাস গৌরবের ইতিহাস। ২০২৪ সালের আন্দোলনেও ছাত্রদলের বিশেষ ভূমিকা ছিলো। যদিও বিশেষ গোষ্ঠী বা বিশেষ মহল এটাকে ছিনতাই করার চেষ্টা করছে। তারা যে চেষ্টাই করুক আমরা সেই চেষ্টা কোন ভাবেই সফল হতে দিবো না। আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন ধরে তারা বলছে নির্বাচনটাকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা অনির্বাচিত একটা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমরা আর কোন অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘায়িত করার কোন সুযোগ দিবো না। যদি কেউ চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আমরা মাঠে নামবো। ছাত্রদলও মাঠে থাকবে। ছাত্র শিবির নাম পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন দলের মধ্যে ঢুকে লুকোচুরি করে আন্দোলন করেছে। কিন্তু ছাত্রদল কোন সামনে থেকে আন্দোলন করেছে। তারা আত্ন পরিচয় গোপন করে কোন আন্দোলন করে নাই। আবার যদি কোন অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোল করা প্রয়োজন হয়। তাহলে ছাত্রদলে সামনে থেকে আন্দোলন করবে।
বক্তব্য প্রদানকালে সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, কেয়ারটেকার সরকার চাচ্ছে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে। নির্বাচন পিছিয়ে দিলে দেশের অবস্থা ভালো হবে না। এসময় তিনি বলেন, যত শীঘ্রই সম্ভব নির্বাচন দিয়ে আপনারা ঘরে যান। ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে বিএনপির জয়ী হবে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের সকল অরাজকতা দূর হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
