শিশুশ্রম বন্ধে সামাজিক সচেতনা গড়ে তুলতে হবে: অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

শিশুশ্রম বন্ধে সামাজিক সচেতনা গড়ে তুলতে হবে: অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: জুন ১৩, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৪ পালন

রঞ্জুউর রহমান ॥ শিশুশ্রম বন্ধ করি, প্রতিশ্র“তি রক্ষা করিএই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া ও কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর আয়োজনে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। গতকাল বুধবার ১২ জুন সকাল দশটা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাঃ শারমিন আখতার এর সভাপতিত্বে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস ২০২৪ পালিত হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর কুষ্টিয়া মোঃ জহিরুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ আরা বেগম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সদর পার্থ প্রতিম শীল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ব্যবসা, বানিজ্য ও বিনিয়োগ শাখা ) আদিত্য পাল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা) মুমতাহিনা পৃথুলা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ই-সেবা কেন্দ্র ও স্থানীয় সরকার শাখা) আবু সালেহ মোঃ নাসিম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ফরমস এন্ড স্টেশনারি শাখা ও লাইব্রেরি শাখা) ফারজানা সুলতানা, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা, ট্রেজারী ও স্ট্যাম্প শাখা) মোঃ মহসীন উদ্দীন এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দুরবস্থাও শিশুশ্রমের অন্যতম কারণ। আর্থিক অনটনের কারণে শিশুদের কায়িক শ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাবা-মায়ের স্বল্প শিক্ষা, দারিদ্র্য এবং অসচেতনতার কারণে তারা শিক্ষাকে একটি অলাভজনক কর্মকান্ড মনে করে। সন্তানদের ১০-১৫ বছর ধরে শিক্ষা উপকরণ ও সুযোগের অভাব এবং শিশুশ্রমের কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের অসচেতনতা বা উদাসীনতায় দেশে শিশুশ্রম বাড়ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশে শিশু আইন প্রণয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন। তিনি সংবিধানে শিশু অধিকার সমুন্নত রাখেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার শিশুশ্রম-নিরসনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছে।

এ ছাড়াও শিশুদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় শিশু নীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ বিরোধ আইন-২০১৭’ এবং গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষায় ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। তারপরও শিশুশ্রমিকের সংখ্যা কমেনি, বরং বেড়েছে। ১০ বছরে প্রায় এক লাখ শিশুশ্রমিক বেড়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাঃ শারমিন আখতার বলেন,এ দেশে শিশুশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের  প্রধান কারণ হচ্ছে পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতা। তাই দেশের শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে সর্বপ্রথম শিশুশ্রমের কারণগুলো অনুসন্ধান করতে হবে এবং কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনা গড়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বেসরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে শিশুশ্রম বন্ধ ও প্রতিরোধে  সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান