কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি ও করণীয় বিষয়ে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ইউপ সচিবদের সাথে উপজেলা পর্যায়ে দ্বি-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কো-অর্ডিনেটর এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মিকাইল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম আদালত প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন। তিনি ইউনিয়ন ভিত্তিক অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন দ্রুত ও সহজে এলাকার ছোট ছোট বিরোধ গুলো নিষ্পত্তির জন্য সরকার গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের জন্য প্রকল্পের মাধমে কার্যক্রম শুরু করেছে। গ্রাম আদালতকে কার্যকর করা গেলে সুবিধা বঞ্চিত, অসহায়, দরিদ্র বিশেষ করে নারীরা তাদের ছোট খাটো সমস্যা বা বিরোধ গুলো অল্প খরচে স্বল্প সময়ে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবে। গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ ( সংশোধন ২০২৪) গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০২৬ অনুযায়ী তিন লক্ষ টাকা মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিচার ইউনিয়ন পরিষদ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, এই আদালতে নিজেরাই বিচারক পছন্দ করে এবং এলাকার পরিচিত লোকজন বিচার করে বিধায় সঠিক ও ন্যায় বিচার প্রাপ্তির সুযোগ আছে। তিনি হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ইউপি সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রাম আদালতের মামলার নথি যথাযথ আইন ও বিধিমালা অনুসরণ করে নিয়মিত আপডেট রাখার জন্য বলেন। চেয়ারম্যানগণ নিয়মিত এজলাসের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করলে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব। আইনী প্রক্রিয়ায় বিচারের ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আছে, যা অন্যদের (উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র) দেওয়া হয়নি।
