কুষ্টিয়া জেলা বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার এসোসিয়েশনের জরুরী সভা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়া জেলা বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার এসোসিয়েশনের জরুরী সভা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: মে ১৬, ২০২৪

নিজ সংবাদ ॥ আমন ধান বীজ বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আসন্ন আমন মৌসুমে জেলা ভিত্তিক ধান বীজ বরাদ্দে অনিয়ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদে জরুরী সভা করেছে কুষ্টিয়া জেলা বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার এসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার (১৫ মে) সন্ধায় কুষ্টিয়া জেলা বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এম জুবায়েদ রিপন’র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি সামছুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম জেড সাঈদী সাগর, সাংগঠনিক মিজানুর রহমান মিলন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হাকিল, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, নির্বাহী সদস্য আজগর আলী, কাশেম আলী, নজরুল ইসলাম নজু ও শাহিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রাবীণ ডিলার জসিম উদ্দিন। সভায় বক্তারা বলেন, দেশের কৃষকদের কথা বিবেচনা না করে গুটিকয়েক কর্মকর্তা অবৈধ সুবিধা নিয়ে এ বছর আমন ধান বীজের জেলা ভিত্তিক বরাদ্দ দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। বরাদ্দপত্রে দেখা গেছে, আসন্ন আমন মৌসুমে কৃষক পর্যায়ে চাহিদার জাতসমূহ কয়েকটি জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অথচ সেসব জেলায় বরাদ্দের পরিমাণ ধান বীজ বিক্রয় হয় না। আবার যে সকল জেলায় কৃষক পর্যায়ে বীজের চাহিদা রয়েছে, সেসব জেলায় বরাদ্দ কম দেয়া হয়েছে। কয়েকজন ডিলার কৃষি ভবনে যোগাযোগ করে চাহিদার বীজগুলি বরাদ্দ করিয়েছেন। তারা নিজ জেলায় এসব বীজ বিক্রয় করতে না পারলেও উচ্চদামে কালো বাজার বিক্রয় করবেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বীজ বরাদ্দে অনিয়মের সাথে বিএডিসির কিছু উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জড়িত রয়েছেন। ডিলাররা অতিদ্রুত এই বরাদ্দ বাতিল করে কৃষকদের চাহিদার ভিত্তিতে পূণরায় জেলা ভিত্তিক বীজ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ কৃষকদের কথা বিবেচনা না কুষ্টিয়ার ডিলাররা কঠোর অবস্থানে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গত কয়েক বছর ব্যাপক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন কৃষি ভবনের কয়েকজন কর্মকর্তা। ডিলাররা বলেন, কৃষকদের কথা বিবেচনা করে সবকিছু সহ্য করেছি। তবে এতো বড় অনিয়ম আর মেনে নেয়া হবে না। জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রথমে অনিয়মের বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে। তাতেও যদি সমাধান না হয়, তাহলে এবছর ডিলাররা কোন বীজ উত্তোলন করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।