কুষ্টিয়া জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০০৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি স্থানীয় সরকারের সেবা সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে হবে: ডিসি এহেতেশাম রেজা - কুষ্টিয়া জিলাইভ | truth alone triumphs

কুষ্টিয়া জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০০৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি স্থানীয় সরকারের সেবা সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে হবে: ডিসি এহেতেশাম রেজা

লেখক: প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪

রঞ্জউর রহমান \ “স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার, নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার”  স্লোগানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০০৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্র“য়ারি) সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া কালেক্টটরেট চত্বরে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজার নেতৃত্বে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি বের হয়। উক্ত র‌্যালিতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আগত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা অংশ গ্রহন করেন। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) মোঃ কাওছার হোসেন, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (স্থানীয় সরকার, প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা) মোঃ রাহাতুল করিম মিজান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা) সৈয়দা আফিয়া মাসুমা এবং জেলা বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা সহ কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ইপি সদস্যবৃন্দ। আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) মোঃ কাওছার হোসেন বলেন, দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের স্থানীয় সরকারের গুরুত্ব অপরিহার্য। তাই স্থানীয় সরকারের সেবা মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থানী সরকারের ভ‚মিকা অপরিসীম। স্থানীয় সরকার প্রশাসন পরিচালিত হয় নির্বাচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রশাসনিক ভাবে। একটি দেশের উন্নয়নে যে বাজেট তৈরি করা হয় তার সর্বশেষ স্তর হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যে লোকাল সমস্যা উঠে আসে সেখানে অর্থায়ন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তাদের এলাকার উন্নয়নে  বাজেট পেশ করে। পরবর্তীতে গ্রামীন উন্নয়নে সেই বাজেট ব্যয় করা হয়। আর এই উন্নয়নে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে স্থানীয় সরকারের সেবা সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে হবে এবং সাধারণ মানুষের জন্য স্থানীয় সরকারের  সেবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। তাই গ্রামীন উন্নয়ন ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আর গ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের উপর। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সাথে সাথে আমাদের স্মার্ট স্থানীয় সরকার গড়ে তুলতে হবে।