কুমারখালীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ভারী বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতা
কুমারখালীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ভারী বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতা। দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিন ধরেই থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি। দুই দিন ধরে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশে টানা বৃষ্টি চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে । কুমারখালী আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায় , ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা লঘুচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে আছে। এর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। ফলে বৃষ্টি আরও দুই দিন থাকতে পারে।

কুমারখালীতে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত ভারী বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতা
এদিকে কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ভারী বৃষ্টিপাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। (৫ ই অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুমারখালী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টির জন্য ভোগান্তিতে পরে পৌরবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর, উপজেলা পরিষদ চত্বর, আবুল হোসেন তরুন অডিটোরিয়াম মাঠ, ফুলকুড়িঁ আইডিয়াল স্কুল চত্বর, কুমারখালী মহিলা কলেজ চত্বর সহ শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জলবদ্ধতার চিত্র ধরা পড়ে। আর জলবদ্ধতার ফলে জনগণ পড়ে চরম ভোগান্তিতে। শহরের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের তৎপরতা দেখা যায়।
এই বিষয়ে কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম রফিক বলেন, পুরাতন ড্রেনেজ ব্যবস্থার ফলে দ্রুত পানি বের না হওয়ার জন্য এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, আর নতুন ড্রেনেজের কাজ সম্পূর্ণ হলে এই জলবদ্ধতার ভোগান্তির হাত থেকে জণগণ রক্ষা পাবে বলে আমি মনে করি।

কুমারখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র হারুন অর রশিদ হারুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এলাকায় কোন জলবদ্ধতা নাই। দুই একটা বাড়ির আঙ্গিনা নিচু হওয়ায় সেখানে বৃষ্টির ফলে সাময়িক সময়ের জন্য পানি জমে থাকতে পারে। নতুন করে ড্রেনের কাজের জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হলে কুমারখালী পৌরসভার মধ্যে পানি জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
টানা ভারি বৃষ্টিপাতে উপজেলাতে বিভিন্ন জায়গায় পেঁয়াজ, শাক-সবজি, বেগুন ও মুচির সহ বিভিন্ন প্রকার কিছু টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
কুমারখালী আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, কুমারখালীতে রেকর্ড পরিমাণ ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে এতো বৃষ্টি হয়নি। রবিবার নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা কমতে পারে।
