বি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা’র ছাদ থেকে পড়ে রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সহপাঠী ও শিক্ষকেরা।

ইবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
শনিবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘নওরীনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন হোক’, ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই’, ‘তদন্ত কাজ কোন গোষ্ঠীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হোক’সহ বিভিন্ন ব্যানার ও প্লাটুন দেখা যায়।
মানববন্ধনে ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শাহিদা আখতার, বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানসহ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন থেকে প্রতিবাদ র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হয়। নওরীন নুসরাতের সহপাঠী শাহজাহান আলী বলেন, ‘নওরীনের যে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এটিকে আমরা আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে পারছিনা। যদি আত্মহত্যাও হয়ে থাকে তার পেছনে প্ররোচনা রয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বশীল পদে থাকার ফলে আমি বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিভাবকদের পাশে থেকে তাদের সাথে কথা বলেছি। তবে অন্য ঘটনাগুলোর সাথে নওরীনের মৃত্যুর ঘটনাটি এক নয়। আমার কাছে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। আমি নওরীনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
‘আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, ‘নওরীনের মত মেধাবী শিক্ষার্থী যে নিজের মেধাকে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সে আত্মহত্যা করবে বলে আমও বিশ্বাস করিনা। এই ঘটনার তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের প্রত্যাশা করছি।’
![]()
আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগের সভাপতি শাহিদা আখতার বলেন, ‘নওরীন মেধা দিয়ে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়কে না সে পুরো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। ডিবেট থেকে শুরু করে এমন কোন সাংস্কৃতিক অঙ্গ নেই যে ওর অবদান নেই ও দেশের কথা ভেবেছে চিন্তা করেছে। নওরীনের রহস্যজনক মৃত্যুর পেছনে বড় কোন কারণ রয়েছে। এটির তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ৮ আগস্ট সাভারের আশুলিয়া এলাকার ৬তলা ভবন থেকে পড়ে বিয়ের ১৬তম দিনে মৃত্যু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা’র।
