কাঙ্গাল হরিনাথের ঐতিহ্যবাহী এম এন প্রেস এখন জাদুঘরে
গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক এম এন প্রেসটি জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর চুক্তির স্বাক্ষর সম্পন্ন হওয়ায় দুই দিন পর প্রেস টি জাদুঘরে সংরক্ষিত করা হয়েছে । গত (১৬ জুলাই) বিনিময়ে এ স্বত্ত্ব হস্তান্তর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী শ্রীমতি গীতা মজুমদার। আর জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে স্বাক্ষর করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।

কাঙ্গাল হরিনাথের ঐতিহ্যবাহী এম এন প্রেস এখন জাদুঘরে
চুক্তি পত্রে ১ নাম্বার সাক্ষীর সাক্ষর করেন কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার এবং দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেন সাংবাদিক কে এম আর শাহীন। প্রেসটি মঙ্গলবার বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতিজাদুঘরে নিয়ে আসা হয়।
মুঠোফোনে এতথ্য জানিয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, গত শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের নব নির্মিত বোর্ড সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক। তারি পরিপ্রেক্ষিতে প্রেস টি জাদুঘরে স্থাপনের জন্য আনা হয়েছে।
এব্যাপারে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার বলেন, ২০ লাখ টাকার চেক ও দুইজনের চাকুরির বিনিময়ে তাঁর মা’ প্রেসটি হস্তান্তরের চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেছেন। চেকটি তাঁরা হাতে পেয়েছেন সেই সঙ্গে চাকরিতে ও জয়েন করেছেন। (১৮ জুলাই) প্রেসটি জাদুঘরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে প্রেস টি কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে দেখা যাবে।
![]()
চুক্তিনামার দ্বিতীয় স্বাক্ষী সাংবাদিক কে এম আর শাহীন বলেন, দু’পক্ষের সমন্বয়হীনতার অভাবে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ২০ লাখ টাকা ও বংশধরদের দুইজনের চাকুরির বিনিময়ে ঐতিহাসিক চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন।
কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালে স্মৃতিজাদুঘরটি চালু হলেও প্রেসটি কাঙ্গাল হরিনাথের বাস্তুভিটায় ছিল। দর্শনার্থীরা এসেই আগে প্রেসটি দেখতে চান। নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিনিময়ে ঐতিহাসিক স্বত্ত্বটি হস্তান্তর করছেন বংশধরেরা। এখন থেকে জাদুঘরে দেখা যাবে প্রেসটি।
