২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
কুষ্টিয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ সদর উদ্দিন খান বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ সকলে বলে বেড়াচ্ছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ হেরে যাবে।এটা তাদের কৌশলগত অপপ্রচার। তারাই হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে না আসার তালবাহানা করছে। বিএনপির সাথে জামাত ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। দেশে দুটি দল রয়েছে একটি স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ, আর আরেকটি স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষ। এর মধ্যে বিএনপি স্বাধীনতার বিপক্ষের এবং আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের নিয়ে রাজনীতি করে।
কুষ্টিয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশ
আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিভাগীয় শহরের সমাবেশ করেছে। যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি বলে দেয় আওয়ামীলীগ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। এসব দেখে বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসবে না। তাই নানা পায়তারা করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ার কারণে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলের বাইরে রয়েছে। শেখ হাসিনা মানবিকতার কারনেই তাদের নেত্রী বাইরে আছেন সেটা তারা ভুলে গেছেন।
তারা জানেননা আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন মানবিক মানুষ। তাই দয়া দেখিয়েছে। অথচ সেই নেত্রী আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিলো। খালেদা জিয়া একজন খারাপ কুপ্রকৃতির মানুষ। তাই তাদের সাথে কোন সমঝোতা নয়। কেন্দ্রীয় একটাই নির্দেশ, বিএনপি জামায়াত যেখানে সভা সমাবেশ করবে, সেখানে যেয়ে দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে হবে। এ দেশ যারা বিশ্বাস করে না, যারা এদেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের এদেশে কোন ঠাই নাই। এদেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। যারা স্বাধীনতা বিরোধী, তারা এদেশে থাকতে পারবে না।
দেশে যে উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে তা দৃশ্যমান। পদ্মা সেত,কর্তফুলী টানেল ও ঢাকার মেট্রো রেল এদেশের চিত্রপট পাল্টে দিয়েছে । দেখে মনে হচ্ছে সিঙ্গাপুর মালেশিয়ার চেয়েও উন্নত হয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার এই উন্নয়নের কথা দেশের মানুষ কখনোই অস্বীকার করবে না। তাই আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারকে নির্বাচিত করতে ভুলবে না। এজন্য বিএনপির মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। আমাদের সকলকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি জামায়াতের সকল অপরাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
অপরদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের জন্য যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দেশের সংকটময় মুহূর্তে হাল ধরেছেন। দেশের মানুষকে ভালবেসেছেন। দেশের মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। এজন্যই সে জাতির পিতা হয়েছেন। বাঙালি জাতি বীরের জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাই আজকে এই অগ্নিঝরা মার্চ মাসে আমাদের আন্দোলন করার সুযোগ হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল অপশক্তির জবাব দিতে হবে। আন্দোলনের নাম নিয়ে যারা আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তারাই এ দেশে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তাই তাদের এদেশে ক্ষমতায় আসতে দিতে পারি না। তাদের সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা শুনেছি বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করবে। তাই আমরা এর বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করলাম। কিভাবে আন্দোলন করতে হয় আমরা তা জানি। আন্দোলনের নামে আমরা নৈরাজ্য করবো না। বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার কোন সুযোগ দেয়া হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছি।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, রাজাকারকে টিকিট দিয়ে মন্ত্রী বানিয়েছেন আপনারা। তাদের ইচ্ছার পরিহাস, জিয়াউর রহমান কোনো দিন মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল, গোলাম আযমের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়েছিল। তা করেছিল বিএনপি’র সরকার। তাই বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ না। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না। তাই যদি হতো তাহলে, জাতীয়তার বিপক্ষে যারা কাজ করেছে, তাদের এদেশে নাগরিকত্ব করা হতো না করতে পারতেন না।
আমরা মরি নাই। বঙ্গবন্ধুর রক্ত এদেশের মাটিতে পড়েছে, জাতীয় চার নেতার রক্ত ঝরেছে। তাই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে এই দুই শক্তিকে পরাস্থ করতেই হবে। নৈরাজ্য করে দেশের মানুষকে জিম্মি করবে তা আমরা বরদাস্ত করবো না। দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করব। আমরা ছাত্রলীগ যুবলীগ করেছি। আমরা মরি নাই। বিএনপি’র ভাইয়েরা যারা আছেন, রাজাকার ভাইয়েরা যারা আছেন। তারা সাবধান হয়ে যান। কুষ্টিয়াতে যদি কোন নৈরাজ্য করার চেষ্টা করেন তাহলে জনগণ তার মোকাবেলা করবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মানুষ আমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে মোকাবেলা করব।
শনিবার(১১মার্চ) বিকাল ৩টার সময় কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত ১১মার্চ বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমুলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে জেলা আওয়ামীলীগের এই দুই নেতা এসব কথা বলেন। শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সদর উদ্দিন খান।
পরিচালনা করে বক্তব্য রাখেন,কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, সহসভাপতি মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদ,কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ হাসানুল আসকার হাসু, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব তরিকুল ইসলাম মানিক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মীর শওকত হোসেন বকুল, সদস্য সাবেক ছাত্র নেতা হাবিবুল হক পুলক, কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগে সভাপতি তাইজাল আলী খান, সদর থানা আওয়ামীলী তো আব্দুর রশিদ, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুকুল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার বিশ্বাসসহ জেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
