কুষ্টিয়ায় জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলায় আহত ২, থানায় মামলা
কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়ায় জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা ও ছেলে আহত হয়েছে। গত ৫ মার্চ (রবিবার) সকাল ৯টায় কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ায় (বাঘা যতিন সড়ক) এ ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়ায় জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলায় আহত ২, থানায় মামলা
আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত রবেশ আলী খাঁর ছেলে ফরিদ আলী খাঁ(৬৫)ও তার বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম(৪০)। এ ঘটনায় আহত ফরিদ আলী খাঁ’র মেজ ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-১৫, তাং-০৮/০৩/২০২৩।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামী আড়ুয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মাসুদ রানা(৪১), মৃত রবেশ আলী খাঁর ছেলে আব্দুর রহিম(৬৬),আব্দুর রহিমের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৬০),মাসুদ রানার স্ত্রী মোছাঃ জো¯œা(৩৫), আব্দুর রহিমের ছেলে রহমত আলী(৩২) ও মাহামুদুল হাসান ওরফে মহর এজমালী সম্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও শফিকুল ইসলামের বসত বাড়ির সম্পত্তির রাস্তা বন্ধ করে পৌরপ্ল্যান ও নকসা ব্যতিরেকে স্থায়ীভাবে জোরপূর্বক বাড়ী নির্মাণ করার চেষ্টা করলে বাদী পক্ষ বাঁধা প্রদান করে। এ ঘটনায় আসামীরা বাদী পক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছিলো।
এরই ধারাবাকিতায় ঘটনার দিন সকাল ৯টায় আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গোস্তকাটা ধারালো দা, কোদাল, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদী পক্ষের বসত বাড়ির সীমানায় অনধিকার প্রবেশ করে। এ সময় মামলার বাদীর পিতা ফরিদ আলী খাঁ এবং ভাই রফিকুল ইসলামকে আসামীরা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলাপাথারী ভাবে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। এবং বাড়ির মহিলার বস্ত্র জোরপূর্বক খুলে বে-আব্রু পূর্বক শালিনতাহানি ঘটায়। এতেও খান্ত না হয়ে আসামীরা গোস্তকাটা ধারালো দা দিয়ে বাদীর পিতা ও ভাইকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত যখম করে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, আহতরা ১০নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রফিকুল ইসলামের মাথার চাঁদিতে ৮টা সেলাই ও মাথার ডান পাশে ৪টা সেলাই দেওয়া হয়েছে এবং ফরিদ আলী খাঁ’র মুখে ৬টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
বাদী শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। এরপরেও আসামীরা আমাদের মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি আসামীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, লালন মেলার ব্যস্ততার কারণে আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাতে পারিনি। আশা করছি আসামীদের গ্রেফতারে আগামীকাল(শনিবার) থেকে অভিযান চলবে।
