কুমারখালীতে প্রথম বারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ হেক্টর জমি চাষ
ধান চাষ পাল্টে দেবে ‘সমলয়’ কুমারখালীতে প্রথম বারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ হেক্টর জমি চাষ। বাংলাদেশ যখন ফসলের মাঠে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে চেষ্টা করছে, তখন ধান চাষ পদ্ধতি পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘সমলয়’ নামে একটি উদ্যোগ।

কুমারখালীতে প্রথম বারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ হেক্টর জমি চাষ
কৃষি অফিস বলছে, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষকের সময়, শ্রম ও ব্যয় কমাতে চায় তারা। এর মাধ্যমে চাষের খরচ কমে আসলে ধান চাষ আবার লাভজনক হয়ে উঠবে বলে আশা করছে তারা। এ পদ্ধতিতে ধান আবাদে চারা তৈরি করতে হয় ট্রেতে। ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয় কম হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। কৃষক ফসল একত্রে মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারেন।
কারণ, একসঙ্গে চারা রোপণ করায় সব ধান পাকে একই সময়ে। তখন ধান কাটার মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যায়।
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নে প্রথম বারের মতো ১৫০ বিঘা জমিতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কুমারখালী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তত্বাবধানে হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) পরিদর্শন করলেন কুষ্টিয়া জেলা কৃষি কর্মকর্তা ডক্টর, হায়াত মাহমুদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাইসুল ইসলাম,নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম খোকন, মাঠ সুপারভাইজার সহ কৃষক বৃন্দ।

কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন,সর্ব প্রথম সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ করছি । আমরা কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে ধান চাষ করছি। এবার আশা করি হাইব্রিড জাতের ধানে ভালো ফলন পাব।
কুষ্টিয়া জেলা কৃষি কর্মকর্তা ডক্টর, হায়াত মাহমুদ। বলেন, জেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ হচ্ছে। ট্রেতে চারা উৎপাদন , রাইচ ট্রান্স প্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপন, কম্বাইন্ড হারভেষ্টর মেশিনের মাধ্যমে ফসল কর্তন করার ফলে পোকা মাকরের হাত থেকে রক্ষা , উৎপাদন ব্যায় রাশ ও হাইব্রীড ধানের ফলন বৃদ্ধি পাবে। এ ছারাও পরিমানমতো বীজ, ইউরিয়া, টি এস পি এবং এমওপি সার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয় বলে যানা যায়।
