ছয়মাস আগেও জমি গুলো পতিত ছিল। সেখানে বাসা বেঁধেছিল সবুজ ঘাঁস, লতাপাতা আর আগাছা। কিন্তু এখন সেখানে শোভা পাচ্ছে শশা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, লাল শাক, পুঁই শাক, ডাটা শাকসহ হরেকরকম সবজি। এদৃশ্য কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্প চত্বরে।
কুমারখালী বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে পরিত্যাক্ত জমিতে শোভা পাচ্ছে হরেকরকম সবজি

সেখানে উৎপাদিত সবজি গুলো সেখানকার পুলিশ সদস্যদের চাহিদা মিটাচ্ছে। বাগান তৈরির আসল কারিগর হচ্ছেন ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, প্রায় ৩৩ শতাংশ জমির উপর নির্মিত পুলিশ ক্যাম্পটি। ১৫ জন সদস্যের জন্য রয়েছে একটি টিনশেডের আধাপাকা ভবন। ভবনের আশপাশে বেশকিছু জমি অনাবাদি ছিলো। সেখানে ঘাঁস লতাপাতার ছিল বাস। বর্তমান ইনচার্জ প্রায় ছয়মাস আগে ক্যাম্পের দাঁয়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপরই বদলে গেছে সেখানকার চিত্র। তিনি সেখানে সবজি, ফলের বাগান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে সুন্দর্য বাড়িয়েছেন বহুগুণে। যা ক্যাম্পে আগতদের নজর কেড়েছে।

শনিবার বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, ক্যাম্পের প্রধান প্রবেশপথ ও ভবনের আশেপাশে রয়েছে ছোট ছোট সবজি বাগান। সেখানে শোভা পাচ্ছে শশা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, চিচিংগা, লাল শাক, পুঁই শাক, ডাটা শাকসহ নানা জাতের সবজি। বাদল নামের একজন পুলিশ সদস্য বাগানের পরিচর্যা করছেন।
এসময় পুলিশ সদস্য বাদল বলেন, যে যখন সময় পান, সে তখন বাগানের পরিচর্যা করেন। শাক, বেগুন, ঢ্যাঁড়শসহ নানান জাতের সবজির চাষাবাদ করছেন তাঁরা। সেখানে উৎপাদিত সবজি দিয়েই তাঁদের ক্যাম্প চলে। বাইরের অনেকেও সবজি নিয়ে যায় সেখান থেকে।
ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবং এসপি স্যার ও ওসি স্যারের দিকনির্দেশনায় ‘ এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ সেজন্য বিভিন্ন জাতের সবজি বাগান করেছেন তিনি। এতে একদিকে ক্যাম্পের সুন্দর্য বর্ধণ ও সবজির চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে আগত ব্যক্তিরা সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
